• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৪০ তম দেশ জর্ডানে আসমা আজমেরী 

রিমু সিদ্দিক

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ২২ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ১২:৪৬, ২৪ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৪০ তম দেশ জর্ডানে আসমা আজমেরী 

বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিশ্বভ্রমণে বের হওয়া কাজী আসমা আজমেরী ১৪০ তম দেশ ছুঁয়েছেন। নিজেই তার ফেসবুক পেইজে এই তথ্য জানিয়ে লিখেন।  অনেক আশা উদ্দিপনা এবং পজিটিভ মেন্টালিটি নিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৪০তম দেশ ভ্রমণে জর্ডানে এসেছি। 

ঘুরতে গিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লিখেন,  জর্ডান এমন একটি দেশ যা কয়েকবার আশা চিন্তা করেও পরবর্তীতে আসতে পারিনি। ৯৯ তম উজবেকিস্তান এর পর চিন্তা করেছিলাম জর্ডানে আসবো ১০০ উদযাপন করতে। ভিসা থাকা শর্তেও তখন তুর্কিমিস্থানের সরকারের আতিথিয়তায় ত্মীয়তার জন্য জর্ডানকে বাদ দিতে হয়েছে ২০১৮ সালে। ২৭শে ফেব্রুয়ারি জর্ডানে আসার কথা ছিল ফ্লাইট কেটেও‌ বোসোওয়ানা থেকে ফ্লাই করতে পারলাম না।‌ ঝুট ঝামেলার মধ্যে দিয়ে পাড়ি দিলাম আমার ১৪০ তম দেশ জর্ডান ৩১ অক্টোবর। 

তিনি আরও লিখেন,  ইথোপিয়া থেকে জর্ডানে আসলাম এক রাশ ইতুবিয়ার গৃহ পরিচালিকাদের সাথে প্লেনে করে। খুবই অবাক হয়েছি প্লেনে প্রায় ইথুপিয়ান ৩০০ এর মত মেয়েরা ছিল যারা জর্ডানে গৃহপরিচালিকার কাজ করে।

নভেম্বরের ১ তারিখে পৌঁছালাম মোটামুটি জর্ডানের আম্মান শহরে। সেখান থেকে জর্ডানের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমার মাথা এতোই খারাপ হয়েছে যে লেখার সুযোগই পেলাম না। সেই আম্মানের জাদুঘর থেকে শুরু করে ডেটসিতে ভাসতে ভাসতে সময় যে কিভাবে চলে যাচ্ছে টেরি পাচ্ছিনা। আর পেটরা সৌন্দর্য দেখে তো মুগ্ধ হয়ে কয়েকবার গিয়েছি তা ঠিক হিসেব নেই। তিন দিনের টিকেট কেটেছি তারপরে আবারও গিয়েছি সেখানে। পেটরা সৌন্দর্য দেখলে সত্যিই মন ভরে যায়। এ যেন একটি আদিম শহর গড়ে তুলেছে বেদুইন পরিবারের লোকেরা। 

ঐতিহ্য সংস্কৃতিতে ভরা জর্ডানের যতই দেখি মুগ্ধ হই ততই। তারায় ভরা আকাশ দেখতে দেখতে সেই অদীরামে চার দিন তো কিভাবেই কেটে গিয়েছে যা সত্যিই সময় যেন স্বল্প। সাথেই রয়েছে আধুনিক সৌন্দর্যের আঁকাবাঁকা শহর যেখান থেকে হাতছানি দেয় ইসরাইল। কিন্তু বাংলাদেশী পাসপোর্ট হওয়ায় ইসরাইলের ভিসাটা মিলল না আমার ।

রুমের ভিতর থেকে নীল সমুদ্র দেখতে দেখতে কিভাবে যে সময় কেটে যাচ্ছে সত্যি তা বলার মত নয়। জডান, যেখানে হাজার দিন থাকলেও মনে হয় আরো ভালো লাগবে আরো থাকতে ইচ্ছে করবে।

ঘুরে বেড়ানোর শখ আর আগ্রহকে পুঁজি করে ২০০৯ সালে কাজী আসমা আজমেরী নেমে পড়েন বিশ্ব-ভ্রমণে। এরপর থেকে এক এক করে বিশ্বের ১৪০ দেশ ছুঁয়েছেন বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে।

খুলনার মেয়ে আজমেরী ছোট বেলা থেকেই ঘোরাঘুরি পছন্দ করতেন। তার বেড়ে ওঠা খুলনা শহরে। কাজী গোলাম কিবরিয়া ও কাজী সাহিদা আহমেদ দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে আসমা বড়। খুলনা থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক করেন। একই বিষয়ে এমবিএ করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে।


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: