• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড় চূড়ায় জাহাজ স্বপ্নতরী

মোর্শেদুর রহমান খোকন

প্রকাশিত: ০৯:১০, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পাহাড় চূড়ায় জাহাজ স্বপ্নতরী

পর্যটন শহর কক্সবাজারের পাহাড়েই ছুটে চলছে চারতলা বিশিষ্ট জাহাজ স্বপ্নতরী! কী আশ্চর্য পাহাড়েই জাহাজ। স্বপ্ন বা কল্পনা নয় যা দূর থেকে দেখে সত্যিই মনে হবে পাহাড়ের চূড়া দিয়ে যাচ্ছে বিশাল জাহাজ স্বপ্নতরী।

তবে এর বাস্তবতা ভিন্ন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বাড়তি আনন্দের জন্য রামু উপজেলা প্রশাসন তৈরি করেছে স্বপ্নতরী পার্ক নামে এই এক অন্যরকম বিনোদন কেন্দ্র। যা দেখতে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকসহ স্থানীয়রা আসছেন।

রামু উপজেলার জোয়ারিয়া নালার প্রবেশদ্ধারে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ব্যতিক্রম এই পর্যটন কেন্দ্রটি স্থাপনের উদ্যোক্তা বিদায়ী রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা। তিনি এক সময়ে পাহাড় কাটার অভিযানের সময় এটি রক্ষার কথা ভাবতে গিয়েই এখানে পার্ক করার স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্ন থেকেই গড়ে তোলা স্বপ্নতরী পার্ক। সাগরে ভাসমান নয় সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় সাগরের এক ব্যতিক্রমী জাহাজ।

সৈকতে বালিয়াড়ী থেকে এটির দূরত্ব ২২কিলোমিটার। দৃষ্টিনন্দন এ জাহাজটি দেখে নজর কাড়বে যে কারও। এখানে প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে সে জাহাজের নামে গড়ে তোলা হয়েছে স্বপ্নতরী পার্ক। তার চারপাশ জুড়ে রয়েছে সবুজের হাতছানি। মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা স্বপ্নতরী পার্কে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকসহ স্থানীয় নারী-পুরুষ ও শিশুদের ভিড়। ফলে পর্যটন খাতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। এখানে শিশু-কিশোদের বিনোদনের ব্যবস্থাসহ ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থাও। স্বপ্নতরী পার্কটিতে বৈদ্যুতিক কেবল কার স্থাপন ও পর্যটন লেক গড়ে তোলা হলে এটি পুরোপুরি বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে রূপ নিবে।

কক্সবাজারের রামুর রশিদ নগর ইউনিয়র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম বলেন, ‘রশিদ নগর ইউনিয়নে পরিচিতির কোনো পর্যটন স্পট ছিল না, এখানে স্বপ্নতরীটি নির্মাণ করায় আমরা ভীষণ খুশি।’

স্বপ্নতরী পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমেল আহমেদ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটকদের বিনোদন শুধু সমুদ্রকে ঘিরে। এখানে পাহাড় কেন্দ্রীক তেমন বিনোদন ব্যবস'া নেই। তাই এপার্ক কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।’

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহামিদা মোস্তফা বলেন, ‘পর্যটকরা সাগরের পাশাপাশি পাহাড়ে বিনোদনের মাত্রা বাড়াতে এ পার্কটির যাত্রা। ফলে সাগরের পাশাপাশি পাহাড় দেখেও আনন্দিত হবেন ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকসহ স্থানীয়রা।’

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: