অ্যাকাউন্টে হঠাৎ ঢুকলো ৩৩০ মাসের বেতন, তৎক্ষণাৎ ইস্তফা; অতঃপর...

এক চাকরিজীবীর সেলারি অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে ঢুকে পড়ে ৩৩০ মাসের বেতন। কল্পনাতীত পরিমাণ অর্থ পেয়ে চাকরি থেকে তৎক্ষণাৎ ইস্তফা দেন তিনি। শুধু তাই নয়; বসের ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন। শেষ পর্যন্ত অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিচারের রায় যায় ওই কর্মীর পক্ষেই।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে। ২০২২ সালের মে মাসে বেতন প্রদানে এক ত্রুটির কারণে ওই কর্মীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার পাউন্ড। অথচ, খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ড্যান কনসরসিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল দে আলিমেন্তোস দে চিলির অফিস সহকারী হিসেবে তার মাসিক বেতন ৩৮৬ পাউন্ড।
প্রথমে তিনি কোম্পানিকে সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে, তিন দিনের মাথায় চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে তিনি আর যোগাযোগ করেননি। পরে কোম্পানির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করে কোম্পানি।
এরপর তিন বছর ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়ার পর এক বিচারক রায় দেন, ঘটনাটি চুরি নয় বরং অনুমোদনহীন প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে, এটি ফৌজদারি মামলা হিসেবে বিচারযোগ্য নয়।
যদিও আদালত ওই ব্যক্তিকে ফৌজদারি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে, কোম্পানি জানিয়েছে, তারা দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবে। দিয়ারিও ফিনান্সিয়েরো পত্রিকাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, আমরা এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সমস্ত আইনগত পদক্ষেপ নেব।
এর আগে, ইউরোপেও এরকম একটি ত্রুটির ঘটনা ঘটেছিল। জার্মানির এক শিক্ষিকা ১৬ বছর ধরে ঘরে বসে সম্পূর্ণ বেতন নিয়েছেন। অসুস্থতার অজুহাতে সশরীরে একদিনও কর্মস্থলে যাননি তিনি।
সম্প্রতি তাকে অসুস্থতার প্রমাণ দিতে বলা হলে, উল্টো নিজের নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেন ওই শিক্ষিকা।
পশ্চিম জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার ভেজেল অঞ্চলের এক কারিগরি কলেজে কর্মরত ওই শিক্ষিকা ২০০৯ সাল থেকে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে আছেন। তিনি নিয়মিত চিকিৎসা সনদ জমা দিলেও কোনও আনুষ্ঠানিক মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়নি। চলতি বছর নতুন প্রশাসকের নির্দেশে তদন্ত শুরু হলে দেখা যায়, এই সময়ে ঘরে বসেই ১১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বেতন হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: