ঘটা করে দিবস পালন করলেও প্রতি বছরই কমছে পাটের আবাদ
দৃষ্টি জুড়ে পাট গাছের চেনা দৃশ্য দেখা না গেলেও এখনও উত্তরে বিচ্ছিন্ন ভাবে চাষ হয় সোনালী আশ-পাট। প্রতিবছর ঘটা করে জাতীয় পাট দিবস পালন করা হলেও পাটের সুদিন ফেরাতে কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না উত্তরাঞ্চলে। প্রতি বছর কমছে আবাদের পরিমাণ।
উন্নত বীজ না পাওয়ায় উৎপাদনে নেমেছে ধ্বস। আর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আক্ষেপ কৃষকের। গবেষকরা বলছেন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জলাশয় মোরে যাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে পাট চাষে।
একসময় দেশের রপ্তানি পণ্যের শীর্ষে থাকা পাট হারিয়েছে তার ঐতিহ্য। কৃষকরা বলছেন, গুনগত বীজের অভাব ও ফলন বিপর্যয়সহ নানা প্রতিকূলতায় এই ফসল থেকে মুখ ফিরিয়েছেন তারা।
যদিও সংশিষ্টদের দাবি পাট চাষে আগ্রহী করতে কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও বীজ প্রদান অব্যাহত আছে।
রংপুর জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম মাহবুব আলম বিশ্বাস জানান, পাটের সুদিন ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও জলাশয় না থাকায় পাট পচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় কৃষকদের।
রংপুর পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রিশাদ আব্দুল্লাহ জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় সাড়ে ৫৪ হাজার হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ ১০ হাজার বেল্ট পাট।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: