• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

গবাদিপ্রাণীর মৃত্যুহার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে ভ্যাকসিন হাব

মজনু সরকার

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ১০ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৮:৪১, ১০ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
গবাদিপ্রাণীর মৃত্যুহার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে ভ্যাকসিন হাব

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির দেশ বাংলাদেশ। আবহকাল ধরে গ্রামীণ জনপদে মানুষের পুষ্টি চাহিদা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে প্রাণিসম্পদ। দেশের প্রাণিজ আমিষের ৫৭ দশমিক ৭২ শতাংশ আসে এদের কাছ থেকে। পুষ্টি নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জাতীয় রফতানি আয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বিশেষ অবদান রেখে চলছে গবাদিপ্রাণী।

ডিএলএস-২০২০ এর তথ্যানুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় আয়ের শতকরা প্রায় ১ দশমিক ৪৩ ভাগ এসেছে প্রাণিসম্পদ থেকে। যা টাকার অংকে ৪৬ দশমিক ৬৭৩ কোটি টাকা এবং জাতীয় রফতানি আয়ের প্রায় শতকরা ২ দশমিক ৪৯ ভাগ অর্থাৎ ১ দশমিক ০১ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার সমপরিমাণ টাকা এসেছে প্রাণিসম্পদ থেকে উৎপাদিত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি থেকে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশ চামড়াজাত পণ্য হতে ২০২৪ দশমিক ১০ কোটি, মাংস ও মাংসজাত উপজাত হতে ৯ দশমিক ৮৮ কোটি, প্রক্রিয়াজাত তরল দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য হতে ১৫ দশমিক ৯৭ কোটি এবং প্রাণিজাত উপজাত হতে ১২৬ দশিমক ৮১ কোটিসহ সর্বমোট ২১৭৬ দশিমক ৭৭ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।

দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এবং ৫০ শতাংশ মানুষ পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের জন্য প্রাণিসম্পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রফতানি আয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসা প্রাণিসম্পদ আজ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। নানা/প্রতিবন্ধকতায় প্রাণিসম্পদ পালনকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দুধ ও মাংস উৎপাদন করতে পারছে না।

প্রাণিসম্পদ আজ যত সমস্যায় ভুগছে তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা প্রাণির অধিক মৃত্যুহার এবং উচ্চ রোগাক্রান্তের হার। আমাদের মাঠ পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও তথ্যানুযায়ী দেশের প্রাণিঘন অনেক জেলায় গরুর মৃত্যহার গড়ে ৫-৭ শতাংশ, মহিষের মৃত্যুহার ৮-১০ শতাংশ, ছাগলের মৃত্যুহার ১৩-১৪ শতাংশ পাওয়া গেছে। এই মৃত্যুহার আবহাওয়া, মৌসুম, জায়গা এবং খামার ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী কম-বেশি হয়ে থাকে। আমাদের পর্যবেক্ষণে অনেক জেলায় গরুর বাছুরের মৃত্যুহার ১০-১২ শতাংশ, মহিষের বাচ্চার মৃত্যুহার ১৩-১৪ শতাংশ এবং ছাগলের বাচ্চার মৃত্যুহার ১৬-১৮ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশে প্রাপ্ত কমন রোগে গবাদিপ্রাণীর আক্রান্তের হার গড়ে ৭০-৮০ শতাংশ। দেশে বিদ্যমান ২৫-৩০টি রোগে গবাদিপ্রাণী আক্রান্ত হলেও তড়কা, বাদলা, গলাফুলা এবং এফএমডি গরু-মহিষের জন্য এবং পিপিআর ছাগলের জন্য অতি সাধারণ রোগ। এই সব রোগ ছাড়া ইদানিং গরুর ক্ষেত্রে ল্যাম্ফি স্কিন ডিজিজও দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় এই সব রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত প্রাণির ৩০-৩৫ শতাংশ উৎপাদন কমে যায়, দেরিতে প্রজননক্ষম হয়, বাচ্চা উৎপাদন কমে যায় এমনকি কিছু কিছু প্রাণী সারা জীবন ধরে এইসব রোগের প্রভাবে ভুগতে থাকে।

গবাদিপ্রাণীর এই অধিক মৃত্যুহার এবং উচ্চ রোগাক্রান্তরের হারের অন্যতম কারণ হিসাবে খামারী পর্যায়ে উন্নত ব্যবস্থাপনা অনুসরণ না করা, পর্যাপ্ত গুণগতমানের ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার অভাব, প্রয়োজনানীয় দক্ষ প্রাণী বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি ডাক্তার ও ভ্যাকসিনেটরের অভাব ইত্যাদি সমস্যা বিভিন্ন গবেষণা ও আমাদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।

বর্তমানে দেশে কম-বেশি ৮০ শতাংশ খামারি উন্নত প্রাণী ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করে না এবং নিয়মিত সূচি অনুযায়ী সকল রোগের ভ্যাকসিন দেয় না। এর একটি বড় কারণ খামারীরা এ ব্যাপারে শিক্ষিত নয়। টিকা দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন নয়, নিয়মিত ভ্যাকসিনেশনে অনীহা এবং তাদের দোরগোড়ায় পর্যাপ্ত গুণগতমানের ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নেই। দেশে কমন রোগের মধ্যে তড়কা, বাদলা, গলাফুলা, পিপিআর রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদিত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। অন্যদিকে এফএমডি ও সাম্প্রতিক দেশে আর্বিভাব হওয়া নতুন রোগ লাল্ফি স্কিন ডিজিজ রোগের ভ্যাকসিন তো সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। এ সকল সমস্যার সঙ্গে প্রাণীর তুলনায় দেশে বর্তমানে দক্ষ প্রাণী বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি ডাক্তার ও ভ্যাকসিনেটরের অভাব তো রয়েছে, দেশে বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে (ডিএলএস) –ডিরেক্টর থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত ভেটেরিনারি ডাক্তার ও পশুপালনবিদসহ প্রায় ১০৫৩জন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং প্রতিটি উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে ভ্যাকসিনেশনসহ অন্য সেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত তিন জন করে ১১৭৬জন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকতার পদ রয়েছে। জানি না এই পদে ১০০ শতাংশ জনবল আছে কি-না? এছাড়া দেশে সব মিলে প্রায় ৬ হাজার জন রেজিস্ট্রার ভেটেরিনারি ডাক্তার এবং প্রায় ২ হাজার জনের মতো পশুপালনবিদ রয়েছে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১-২ করে স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাকসিনেটর আছে, সেই হিসাবে দেশে প্রায় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার জন ভ্যাকসিনেটর আছে। এদের সঙ্গে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে কমবেশি ২-৩জন করে দেশব্যাপী প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার জন অনিবন্ধিত লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) রয়েছে। এই উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, স্বেচছাসেবী ও এলএসপিরাই মূলত মাঠ পর্যায়ের গবাদিপ্রাণীর ভ্যাকসিন প্রদানের সঙ্গে জড়িত। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত এই জনবল বর্তমানে দেশের প্রাণীর তুলনায় খুব অপ্রতুল। কেননা দেশে বর্তমানে গবাদিপ্রাণীর (গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া) সংখ্যা ৫৬৭ দশমিক ৩৪ লাখ এবং পোলট্রির সংখ্যা ৩৭৫৬ দশমিক ৪৫ লাখ।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারীদের শিক্ষিতকরণ, ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পিং –এর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নত প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা অনুসরণে অভ্যস্তকরণ, ভ্যাকসিন হাব তৈরির মাধ্যমে খামারীদের দোরগোড়ে গুণগতমানের ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা বাড়ানো এবং মাঠ পর্যায়ে দক্ষ জনবল বৃদ্ধিসহ তৈরির মাধ্যমে বর্ণিত সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। এই সমস্যার কিছু অংশ হ্রাসকরণের লক্ষ্যে পিকেএসএফ, ইফাদ ও ড্যানিডার অথায়নে পরিচালিত রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন (আরএমটিপি)-এর আওতায় “নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন” শীষক ৮টি চলমান ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্প হতে আগামী আড়াই বছরে দেশের প্রাণীঘন ১২টি জেলার ৩৬টি উপজেলার ১৮৫টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ১টি করে (বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১০০টি) ভ্যাকসিন হাব তৈরির মাধ্যমে ২ লাখ খামারীর প্রায় সাড়ে ৬ লাখ প্রাণিসম্পদ (গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া)-কে বাৎসরিক নিয়মিত গুণগতমানে ভ্যাকসিনেশন করার, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার জন দক্ষ ভ্যাকসিনেটর তৈরি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২ লাখ খামারীর শিক্ষিতকরণের মাধ্যমে ভ্যাকসিনেশনের প্রতি অনীহা দূরকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সব ভ্যাকসিন হাবে সরকারি-বেসরকারি ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে লিংকেজের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়িয়ে যথাযথ কুল চেইন মেইনটেইন করে সরকারি-বেসরকারি পযায়ের সকল গুণগতমানের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে এবং সেখান থেকে স্থানীয় প্রশিক্ষিত দক্ষ ভ্যাকসিনেটররা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো সময় কুল চেইন মেইনটেইন করে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে খামারিদের দোরগোড়ে পৌছে দিতে পারবে। যে ভ্যাকসিনটি তাদের বিভিন্ন উপজেলা থেকে অথবা বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য ছিল। এছাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ২দিন বন্ধ থাকাটাও একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের হাট সারোটিয়ার প্রাণীর সেবা প্রদানকারী রোহিজ উদ্দিন সায়দাবাদ বাজারে এমন একটি ভ্যাকসিন হাব চালাছেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি ২০১৪ সাল থেকে সায়দাবাদ বাজারের পাশে একটি ফার্মেসি দিয়ে ভেটেরিনারি ওষুধ বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কয়েক বছর তার এ ব্যবসা থেকে মাসিক গড়ে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা আয় হতো। এ ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন লাভজনকভাবে এ ব্যবসা চালাতে গেলে তাকে গবাদিপ্রাণী পালন ও চিকিৎসা বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। এরপর তিনি ২০১৮সালে স্থানীয় যুব উন্নয়ন উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে ৩ মাসের একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি তার কাছে আসা খামারীদের নানা রকম কারিগরি ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিতে থাকেন। ফলে তার ওষুধের গ্রাহক বাড়তে থাকে। এরপর পিকেএসএফ এর আরএমটিপির আওতায় স্থানীয় এনজিও এনডিপি সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ৬ টি উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন “নিরাপদ মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন” ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্প হতে ভ্যাকসিনেটর হিসাবে প্রশিক্ষণ পান। প্রশিক্ষণ পরবতী তিনি ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত স্থানীয় প্রতিটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পিং অংশগ্রহণ করতে থাকেন। এভাবে স্থানীয়ভাবে খামারীদের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরপর তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে তাকে ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় তাকে ভ্যাকসিন হাবের জন্য নির্বাচিত করা হয়।’ তিনি আরও জানান, প্রকল্প হতে তাকে যথাযথভাবে কুল চেইন মেইনটেইন করে সকল প্রকার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য কারিগরি ও প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যাল, ওয়ান ফার্মা এবং লাম্ফি স্কিন জিজিজের ভ্যাকসিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লিংকেজ তৈরি করিয়ে দেওয়া হয় (ব্যাকওয়াড় লিংকেজ)। একই সঙ্গে তার ভ্যাকসিন বিক্রি বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় খামারীসহ সকল ভ্যাকসিনেটরদের সঙ্গেও লিংকেজ বৃদ্ধির কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হয়েছে (ফরওয়ার্ড লিংকেজ)। এইভাবে তার ভ্যাকসিন সাপ্লাই চেইন শক্তিশালীকরণ করা হচ্ছে। এনডিপির পাশাপাশি স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের থেকেও বিভিন্ন সহায়তা পাচ্ছেন। বর্তমানে তার পরিচালিত এই ভ্যাকসিন হাবে অ্যানথ্রাক্স, পিপিআর, এফএমডি, গলাফুলা, বাদলা, জলাতঙ্ক এবং বিসিআরডিভি, আরডিভি, গামবোরো ইত্যাদি ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। মাঠের চাহিদা থাকায় খুব শিগগিরই লাম্ফি স্কিন ডিজিজি রোগের ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন পাখির বিশেষ করে কবুতরের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানান। বর্তমানে তার এই ভ্যাকসিন হাবটি হতে মাসিক গড়ে প্রায় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার খামারীর কাছে যাচ্ছে এবং স্থানীয় ৭-৮ জন ভ্যাকসিনেটর নিয়মিত তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ফার্মেসি ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন হাব চালিয়ে তার বর্তমানে মাসিক গড়ে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আশা করা হচ্ছে, বর্ণিত উপ-প্রকল্পগুলোর আওতায় আগামী আড়াই বছরের মধ্যে দেশের প্রাণীঘন ৩৬টি উপজেলার ২ লাখ খামারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, ২ হাজার প্রশিক্ষিত ভ্যাকসিনেটর তৈরি, সাড়ে ৬ লাখ গবাদিপ্রাণীকে নিয়মিত ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা এবং ভ্যাকসিনের সাপ্লাই চেইন শক্তিশালীকরনের মাধ্যমে বর্ণিত রোহিজ উদ্দিনের ভ্যাকসিন হাবের মতো আরও ১৮৫টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন হাব তৈরি ও এসব হাব কার্যকরভাবে সচল রাখার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। আর এই কাজগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বর্ণিত অঞ্চলগুলোতে প্রাণীর মৃত্যুর হার এবং রোগাক্রান্তের হার অনেকাংশে হ্রাস পাবে, যা প্রাণীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

লেখক: উপ-ব্যবস্থাপক, পিকেএসএফ ।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: