• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

শিল্প -সাহিত্য

স্রষ্টা, সময় আর মানুষের সম্পর্কের কাব্যগ্রন্থ ‘যখন কিছুই ছিল না’
স্রষ্টা, সময় আর মানুষের সম্পর্কের কাব্যগ্রন্থ ‘যখন কিছুই ছিল না’

‘যখন কিছুই ছিল না’ একটি কাব্যগ্রন্থ, স্রষ্টাকে খোঁজার ক্ষেত্রে অকপট এক আত্মকথন বইটি। কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদের কবিতার এই বই নিয়ে আড্ডা হয়ে গেল রাজধানীর কাটাবনের কবিতা ক্যাফেতে। উজান প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত এই কবিতার বই নিয়ে ভিন্নধর্মী এ আড্ডায় সূচণা বক্তব্য রাখেন প্রকাশক, সাংবাদিক ষড়ৈশ্বর্য্য মুহাম্মদ। সঞ্চালনা করেন সেঁজুতি জাহান জিনাত। অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন কবি নাসির আহমেদ, কবি মাহবুব হাসান, কবি তুষার দাশ, কবি সৈয়দ তারিক, কবি মজিদ মাহমুদ, কবি তপন বাগচী, কবি আফরোজা সোমা, কবি আলতাফ শাহনেওয়াজ, কবি মামুনখান, কবি সামতান রহমান, কবি হাছান মাহমুদ, কবি শৈবাল নূর প্রমুখ। আলোচকরা বলেন, এই কাব্যগ্রন্থ সুফিবাদ ও আধ্যাত্মবাদের নতুন স্বাদ যুগিয়েছে। প্রেম ও পরমের সম্পর্ক স্থাপনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, তিনি কবিতাগুলো লেখার ক্ষেত্রে কোন হীনমন্যতায় ভোগেননি। কেন না, সুফিবাদ নিয়ে বই লিখতে গেলে অনেকেই দোটানায় ভোগেন। 

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩, ১৬:২৯

মাত্র ৬ বছর লিখেছেন সাধারণের কবি সুকান্ত
মাত্র ৬ বছর লিখেছেন সাধারণের কবি সুকান্ত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেতাল্লিশের মম্বন্তর, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেন এবং একের পর এক ‘বিস্ফোরণ’ ঘটাতে থাকেন। ১৯৪৪ সালে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। সেই বছরই ‘আকাল’ নামক একটি সংকলনগ্রন্থ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। সুকান্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতার (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ বিভাগ সম্পাদনা করতেন। সুকান্তের সাহিত্যের মূল জায়গা ছিল কবিতা। সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, যন্ত্রণা ও বিক্ষোভ তাঁর কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু। তাঁর রচনায় গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাণীসহ শোষণহীন এক নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার উচ্চারিত হয়েছে তীব্রভাবে, যা একজন কমিউনিস্ট-এর হওয়া কর্তব্য। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতার বৈপ্লবিক ভাবধারাটি যাঁদের সৃষ্টিশীল রচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে, সুকান্ত তাঁদের অন্যতম। তাঁর কবিতার ছন্দ, ভাষা, রচনাশৈলী এত স্বচ্ছন্দ, বলিষ্ঠ ও নিখুঁত যে, তাঁর বয়সের বিবেচনায় বিস্ময়কর ও অসাধারণ। অথচ জীবৎকালের মাত্র ছয়-সাত বছরই পেয়েছিলেন লেখালিখি করবার জন্য!

শনিবার, ১৩ মে ২০২৩, ১২:৩৮

বাঙালির `আইডেন্টিটি` রবীন্দ্রনাথ
বাঙালির `আইডেন্টিটি` রবীন্দ্রনাথ

আজকের দিনে কলকাতায় জন্ম নিয়েছিলেন বাঙালির `আইডেন্টিটি` রবীন্দ্রনাথ। না জন্মালে কী হতো সে প্রশ্ন অবান্তর। তবে তিনি বেঁচে থাকতে এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে প্রথমে অবিভক্ত বাংলায়, পরে দুই বাংলায় কত শত মানুষ যে বিদ্ব্যান বনে গেছে সে হিসেবও মেলে না। জমিদার, উচ্চবিত্ত, সাম্যবাদী নন, প্রজাহিতৈষী নন, দারিদ্র না বোঝা, সাম্প্রদায়ীক, উন্নাসিক.....অতঃপর `হিন্দু কবি`! কতই না অভিধা তাঁর! অথচ সেই তাঁকে নিয়েই শত-সহস্র কবি-লেখক করে-কম্মে খাচ্ছেন! তাঁকে ফাতা ফাতা করে ফেলা হয়েছে। হচ্ছে। এমনকি তিনি কীভাবে আম কেটে খেতেন তা নিয়ে পুস্তক রচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে বাঙালি তাঁকেই `ভাঙিয়ে খাচ্ছে`। উপায় নেই। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি অলঙ্কৃত করেননি। না, নেই। আমার রাজনৈতিক মতবাদের দিক থেকে তিনি আমার নমঃস্য নন। আবার আমি এটাও মনে করি; তাঁর ছোটগল্প আর সংগীত বাদ দিলে বাঙালির ভাঁড়ার ঘর প্রায় শূণ্য।

সোমবার, ৮ মে ২০২৩, ০০:১৫