• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন হাসান আজিজুল হক

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১৬ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন হাসান আজিজুল হক

স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী নন্দিত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক-এর নামাজে জানাজা মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর রাবি’র কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে স্ত্রী শামসুন নাহার-এর কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে। এর আগে বেলা ১২টা থেকে তাঁর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক রাজশাহীর বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

হাসান আজিজুল হক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে গত ২১ আগস্ট রাজশাহী থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হয়। প্রথমে তাকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজশাহীর বাসভবন ‘উজান’-এ ফিরেছিলেন হাসান আজিজুল হক।

হাসান আজিজুল হক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অধ্যাপনা করেন।
 
জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তাঁর গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। ১৯৬০-এর দশকে তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। আগুনপাখি (উপন্যাস), আত্মজা ও একটি করবী গাছ (গল্পগ্রন্থ), একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথাসহ (প্রবন্ধ) অসংখ্য জনপ্রিয় বইয়ের লেখক এ সাহিত্যিক বিভিন্ন সময়ে নানা পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। এর মধ্যে ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৮ সালে তাকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে 'সাহিত্যরত্ন' উপাধি দেওয়া হয়।
 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১ বছর শিক্ষকতার পর ২০০৪ সালে তিনি অবসর নিয়েছেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শিক্ষকদের আবাসন এলাকা ‘বিহাস’- এ নিজের বাসায় ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে এবং এক ছেলে রেখে গেছেন। তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ হাসান মৌলি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন: