বোনকে ডুবতে দেখে নদীতে লাফ দিলো ভাই, অতঃপর...

নাটোরের সিংড়ায় বারনই নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছিলো শিশু ফাতেমা (৫)। এসময় তাকে উদ্ধার করতে লাফ দেয় ভাই আব্দুস সবুর (৯)। কিন্তু দুজনই এক সময় নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খুঁজেও না পাওয়ার পর ডুবুরী খবর দেওয়া হয়।
ঘটনার ৪ ঘন্টা পর ভাই আব্দুস সবুরের মরদেহ উদ্ধার করলেও বোন ফাতেমা নিখোঁজ রেখেই উদ্ধার অভিযান শেষ করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের উলুপুর গ্রামের বারনই নদীতে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিশু একই এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা ও সাহাদ ইসলামের ছেলে আব্দুস সবুর। শিশুরা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা নদীতে খোঁজাখুজি করে তাদের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজশাহীর ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরী দলকে খবর দেয়া হয়।
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আক্তার হামিদ জানান, দুপুরে ফাতেমা ও সবুর তাদের বাড়ী সংলগ্ন বারনই নদীতে অন্যদের সাথে গোসল করতে নামে। এসময় নদীর স্রোতে ফাতেমাকে ডুবে যেতে দেখে ভাই সবুর তাকে বাঁচাতে গিয়ে সেও পানির স্রোতে ডুবে যায়।
পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ভাই আব্দুস সবুরের মরদেহ উদ্ধার করে। নদীতে স্রোত থাকার কারনে বোন ফাতেমার কোন খোঁজ না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান শেষ করে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: