শীতের দাপটে কাঁপছে জয়পুরহাট

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৯টায় তাপমাত্রা জয়পুরহাটে ১০ দশমিক ১০ .০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা আছে।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
কৃষক ফেরদৌস বলেন, গত কয়েকদিনের লাগাতার ঘন কুয়াশার আর শীতল বাতাসের কারণে আমার বীজতলার ধানের গাছগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে গেছে। এর থেকে প্রতিকার পেতে অতিরিক্ত খরচ করে স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে করে বোরো ধান আবাদে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে।
বোরো ধান লাগানোর বীজ তলার অবস্থা খুবই খারাপ। শীতের কারণে বীজতলা অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় কারনে নষ্ট হতে চলেছে। বোরো লাগানো বিলম্ব হতে পারে বলে জানালেন কৃষকরা।
গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে শহরের বাটার মোড়ে এসেছেন হাবিবর রহমান তিনি বলেন, প্রত্যেকদিন বালু ও মাটি কাটার কাজ করে মজুরি নিয়ে সংসার চালাই। ৫ জন খানে ওয়ালা। শীতের সকালে গত দুই দিন ধরে এখানে বসে থেকে থেকে চলে যাচ্ছি কাজ পাচ্ছি না। এ কনকনে ঠান্ডায় কাজ না পেয়ে তাই আজকেও ফিরে যাচ্ছি বাড়িতে।
অটোচালক জাইদুল বলেন, এবার যে শীত শুরু হইছে কেমন করে মানুষ বাড়ি থেকে বের হবে। আগে সকাল ১০ টা বাজতে বাজতে দেড় থেকে ২০০ টাকা ইনকাম হইত আর এই শীতের সকাল ১২ টা পার হয়ে গেলেও ১০০ টাকা ভাড়া মারতে পারি নাই। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। আয় কমে যাওয়ায় কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
বদলগাছি আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে জয়পুরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.০৩ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮. ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় এ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: