• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২১ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

গণনায় ৯৮ জন মাদরাসার ছাত্র ৯ জন শিক্ষক ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহন করেন। দিনভর গণনা শেষে রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ২ টায় দানের পরিমাণ জানা যায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ।

দানবাক্স থেকে টাকা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা, রিয়েল, রিংগিত, ডলার পাওয়া গেছে। প্রতি তিনমাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে চার মাস ১০দিন পর খোলা হয়েছে।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। আর সে কারণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষজন এখানে দান করে থাকেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রাতরণার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদটির খতিব মাওলানা আশারফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে দানের টাকা পৌঁছে দেওয়া, মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ দিকে সাধারণ মানুষের শর্তক থাকতে হবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্স খালি হওয়ার পর থেকে পরবর্তী খোলার সময় পর্যন্ত ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে নজরদারি করা হয়। এবং ডিভাইসগুলো সবসময় সচল রাখা হয়। পুলিশের টহল টিম কাজ করে। এবং গণনার দিন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় জোরদার করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদে দানের টাকার পাশাপাশি গবাদিপশু, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল দান করা হয়। এবং প্রতিদিন আসরের নামাজের পর দানকৃত এসব পশু নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এখানে অনলাইনের মাধ্যমে দান করার কোন ব্যবস্থা নাই। যা দান হয় সরাসরি দান করতে হয়। পাগলা মসজিদের প্রতি মানুষের এমন আবেগ আছে বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। সে সময় ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এসব বস্তা থেকে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়ায় যায়। এর আগে কখনও এত টাকা পাওয়া যায়নি।

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন: