• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আজ দুঃসহ স্মৃতির ভয়াল ২৯ এপ্রিল 

প্রলয়ংকরী তাণ্ডবের ৩৩ বছর পরও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ, অরক্ষিত সমুদ্র উপকূল

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৬:১৮, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
প্রলয়ংকরী তাণ্ডবের ৩৩ বছর পরও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ, অরক্ষিত সমুদ্র উপকূল

আজ দুঃসহ স্মৃতির ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এইদিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিল দেড় লাখ মানুষ। ভয়াল সেই রাতের স্মৃতি মনে হলে এখনো শিউরে উঠেন স্বজন হারানো মানুষেরা। প্রলয়ংকরী এই তাণ্ডবের ৩৩ বছরেও উপকূলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনলে এখনও নির্ঘুম রাত পার করেন অনেকে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, উপকূল আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সুরক্ষিত হওয়ায় আগামীতে এই ধরনের দুর্যোগে এতো প্রাণহানি হবে না।

এখনও চট্টগ্রামবাসীর মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে আছে ৩৩ বছর আগের ভয়াল সেই রাত। জলোচ্ছ্বাস আর ঝড়ে লন্ডভন্ড সেই রাতের স্মৃতি মনে করে এখনও বুক ভারি হয়ে আসে এই জনপদের স্বজনহারা মানুষের। সেই ভয়াল রাতে চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় ঝড় ও পানিতে তলিয়ে যায় লাখ লাখ বাড়ি, মানুষ, গবাদিপশু। যারা বেঁচে আছেন  তারাও লড়াই করে বেঁচেছেন। খোঁজ মেলেনি অনেকের মরদেহেরও। একরাতেই  চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই আর কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া উপকূলে প্রাণ হারান অন্তত: ১ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে পথে বসে আরও ১ কোটি মানুষ। ভয়াল সেই দু:সময়ের কথা মনে করে এখনও শিউরে উঠে মানুষ।

সমুদ্র উপকূলীয় বাঁশখালীতে ৩০০ কোটি টাকায় নির্মিত বেড়িবাঁধের নানা স্থানে ভাঙন ধরেছে। পুকুরিয়া থেকে ছনুয়া পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অধিকাংশ এখনও অরক্ষিত। সীতাকুণ্ডে ২৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৪কিলোমিটার অধিক ঝুঁকিতে আছে। মীরসরাইয়ে হুমকির মুখে পড়েছে মুহুরি প্রজেক্ট বেড়িবাঁধ। সন্দ্বীপের ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এখনও অরক্ষিত। 

তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ের পর এখন রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়ার পাশাপাশি স্থায়ী অস্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ হওয়ায় ঝুঁকি কমছে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

ঘূর্ণিঝড়ের পর দীর্ঘ সময় উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় লবণাক্ততার কারণে ফসল ফলাতে পারেনি কৃষকরা। সরকারি হিসেবে সেই মহাদুর্যোগে দেড় বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়। 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: