১৭ বছরেও সারেনি সিডরের ক্ষত

ছবি: সংগৃহীত
১৭ বছরেও সারেনি সিডরের ক্ষত। ২০০৭ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় বরগুনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় বেশ কয়েকটি জেলা। বরগুনার বিধ্বস্ত বাঁধ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন হয়নি আজও। এরইমধ্যেও প্রায় প্রতিবছরই আঘাত হেনে যাচ্ছে ঝড়-জলোচ্ছাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অন্যদিকে বাগেরহাটে বাঁধ রক্ষায় শিগগরিই নদী শাসনে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
১৭ বছর আগে প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় সিডর তছনছ করে দেয় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা। বিপর্যস্ত হয় সেখানকার জীবন-জীবিকা।
সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি আজো তাড়িয়ে বেড়ায় বরগুনার মানুষকে। ব্যাপক হতাহতের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭৭ হাজার ৭৫৪টি ঘরবাড়ি, দুই লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৩ একর জমির ফসল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও বেড়িবাধের। সংস্কার হয়নি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। হয়নি পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রও। টিকে থাকার সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্তরা।
পর্যায়ক্রমে সব বাধ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
অন্যদিকে, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত আরেক জেলা বাগেরহাটে নদী শাসন না করেই টেকসই বেড়িবাধ তৈরি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, এক বছর যেতে না যেতেই বাঁধের ব্লক ধ্বস, নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ঝুকিঁতে ৭ কিলোমিটার বেরিবাঁধ এলাকার মানুষ।
তবে নদী শাসনের একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে- জানালেন বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মাদ আল বেরুনী।
নদী শাসনে দ্রুত ব্যবস্থা দেখতে চান ঝড়ঝঞ্জার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা উপকূলবাসী।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: