পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি টাকা

ছবি: সংগৃহীত
দানের টাকায় আবারো রেকর্ড গড়লো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। এবার মিলেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। মনোবাসনা পুরণের বিশ্বাসে দিন দিন বাড়ছে দানের পরিমাণ।
চার মাস ১১ দিন পর খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবক্স । ১১টি লোহার বাক্সে মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা। শনিবার সকাল ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর নেতৃত্বে দানবক্স খোলা হয়। এতিমখানার ছাত্র-শিক্ষক- ব্যাংকের লোকজনসহ চারশ জনের একটি দল টাকা গণনার কাজ করেন।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই মসজিদে দান করছেন। এখানে দান করলে মনের আশা পূরণ হয় এ বিশ্বাস তাদের। এ কারণেই দিন দিন দানের পরিমাণ বাড়ছে।
দানের টাকায় জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করা হয়। সারাবছর চলে সমাজসেবামূলক কাজ। দানের টাকায় নির্মাণ করা হবে মসজিদ ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামী কমপ্লেক্স। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে একশ ১৫ কোটি টাকা।
এর আগে সর্বশেষ গত ৩০শে নভেম্বর এ মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। ২৯ বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়া পাওয়া যায় বিদেশি মুদ্রা, সোনা, রূপা ও হীরার গয়না।
জনশ্রুতি রয়েছে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে থামেন। তাকে ঘিরে সেখানে অনেক ভক্তরা সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে তোলা হয়। পরে কালক্রমে এটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি পায়।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: