• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পাংশায় যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৪ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
পাংশায় যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

রাজবাড়ীর পাংশায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রাশিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রাশিদুল পেশায় একজন কৃযক। শনিবার (৩ মে) সকালে পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক রাশিদুল ইসলাম পাংশা উপজেলার পাট্টা গ্রামের কিয়ামদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।

জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন এবং দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রাশিদুলের ভগ্নিপতি ফজলুর রহমান বলেন, পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামের সুদের কারবারি ইসলামের কাছ থেকে গত ২ বছর আগে আমার শ্যালক রাশিদুল ৭ হাজার টাকা নেন। তবে, দেড় বছর আগে ইসলামকে সমস্ত টাকা সুদসহ ফেরত দেওয়া হয়। এরপরও আরও টাকা দাবি করেন ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, টাকার দাবিতে ইসলাম আমার শ্যালক রাশিদুলের পাট্টা বাজারে অবস্থিত চায়ের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। একই সঙ্গে আমার শ্যালকের বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এরপর ইসলামের ভয়ে আমার শ্যালকসহ তার পরিবারের সব লোকজন মাগুরার শ্রীপুর থানার চণ্ডিবর গ্রামে আমার বাড়িতে আশ্রয় নেন।

ফজলুর রহমান বলেন, ৭ মাস আগে আমার শ্যালকসহ তার পরিবারের লোকজন আবারো তাদের বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফিরে আমার শ্যালক তার স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন। তবে, এর মধ্যেও ইসলাম ও তার লোকজন আমার শ্যালককে কয়েকবার হত্যার হুমকি দিয়েছিল।

তিনি জানান, ২২ দিন বরিশালে ধান কাটা শ্রমিকের কাজ শেষ করে শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাড়ি ফেরেে তারা। তারা ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক একসঙ্গে কাজ করে মজুরি হিসেবে এক ট্রাক ধান নিয়ে আসেন। ধানগুলো তারা রুপিয়াট গ্রামে সঙ্গীয় এক শ্রমিকের বাড়িতে রাখেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে আমার শ্যালক ওই ধান ভাগ করার জন্য রুপিয়াট যাচ্ছিল। পথে নিভা গ্রামে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ইসলাম, রফিক, খালিদ, সিন্টু, সুমন, সাদ্দাম ও ইকবালসহ ২০ থেকে ২৫ জন তার পথরোধ করেন। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রাশিদুল মারা যায়।

ফজলুর রহমান আরও বলেন, কুপিয়ে আমার শ্যালকের হাতের ও পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে গুঁড়ো করে দিয়েছে। খুব নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মামলা করবো। আমরা হত্যার বিচার চাই।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় খালিদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2