২ বছরেও শেষ হয়নি পাঙ্গাসিয়া সেতুর কাজ, কাঠের পুলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ভোলার শশীভুষণ টু গজারিয়া রোডে চরফ্যাসনের ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন ও লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ(গজারিয়া) সংলগ্ন পাঙ্গাসিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৬ জুন)  ওসমানগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ফরাজী বাজারের উত্তর পাশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েকশ’ মানুষ অংশ নেন। 

এ সময় ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম. মান্নান বলেন, প্রায় দুই বছরেও এই ব্রিজটি নির্মাণ শেষ না হওয়ায় এই পথে চলাচলকারী হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে। প্রতিদিন যানবাহন ও মানুষকে নির্মাণাধীন ব্রিজটির পাশের বিকল্প কাঠের ক্ষণস্থায়ী পুল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে, এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তি নিরসনে ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন মোতাহার নগর বিএনপির সভাপতি আব্দুস শহীদ মিয়া। ওসমানগঞ্জ মানবসেবা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা মাসুদ আলম বলেন, ওসমানগঞ্জসহ এই এলাকার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ দ্রুত নিরসনে মানবসেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে  এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। 

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরো বক্তব্য রাখেন মো. এমরান হোসেন, মো. শিপন আহাম্মেদ, আব্দুলাহ আল মামুন, মো. মজরুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন মহি, মো. দিদারুল ইসলাম প্রমূখ। 

এ বিষয়ে ব্রিজটি নির্মাণে দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সুমন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতির কারণে কিছু সময় কাজ বন্ধ রেখেছিলাম, পাঙ্গাসিয়া ব্রিজের তিনটি পিসি গার্ডারের কাজ শেষ হয়েছে, চতুর্থ পিসি গার্ডারের ঢালাইর কাজ শেষ, দুই তিন দিনের মধ্যে টেনসনিং শেষ করে ডেস্ক স্লাব, এপ্রোচ রোডের কাজ ধরবো, আশা করছি আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য ব্রিজটি খুলে দিতে পারবো।  

লালমোহন উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ইঞ্জিনিয়ার রাজিব সাহা বলেন, এ ধরণের ব্রিজে পিসি গার্ডারের কাজ শেষ করতে সময় লাগে, জনগণের ভোগান্তির কথা শুনেছি, কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় এ বিষয়ে তদারকি করছি।