• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

নরসিংদীর ডিসি কার্যালয়ের সহকারী নাজিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২৪ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
নরসিংদীর ডিসি কার্যালয়ের সহকারী নাজিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন এর বিরুদ্ধে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৩ জুন) ভুক্তভোগী ওই নারী নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করলে মাধবদী থানাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নরসিংদী আদালতের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম।

এর আগে গত ৯ মার্চ সন্ধ্যা থেকে ১০ মার্চ সকাল পর্যন্ত মাধবদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গাজী আবাসিক হোটেলে দফায় দফায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইকরাম হোসেন (৪২) নরসিংদী পৌর শহরের পূর্ব ভেলানগর এলাকার মৃত ইলিয়াসের ছেলে ও নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির পদে কর্মরত।

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, তিনি প্যারালাইসড হয়ে অসুস্থ পড়া মুক্তিযোদ্ধা পিতার জন্য হুইল চেয়ারের আবেদন করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। পরে ওই আবেদনপত্র থেকে পাওয়া তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করে দ্রুত একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বস্থ করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন। এরপর থেকে ওই নারীর সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলা শুরু করেন ইকরাম। এক পর্যায়ে ওই নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন নাজির ইকরাম হোসেন। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। বিয়ের বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলার জন্য বলেন ওই নারী। সরকারি চাকরির বিধান অনুযায়ী বিয়ে করতে হলে প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন জানিয়ে ওই নারীর সাথে ফোনে কথা বলা অব্যাহত রাখেন ইকরাম হোসেন। 

এক পর্যায়ে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে ওই নারীর নিকট হতে দুই লাখ টাকা ধার নেন ইকরাম হোসেন এবং বিভিন্ন জেলায় ঘুরতে যান তারা। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কাজী ডেকে বিয়ে করার কথা বলে ৯ মার্চ ওই নারীকে নিয়ে মাধবদীর গাজী আবাসিক হোটেলে কক্ষ ভাড়া করেন নাজির ইকরাম হোসেন। এসময় কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের কথা বললে রমজান মাস হওয়ায় তারাবি নামাজের পর কাজী ওই হোটেলে এসেই বিয়ে পড়াবেন বলে জানান। এসময় বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে হোটেলের কক্ষে ধর্ষণ করেন ইকরাম হোসেন। ধর্ষণের পর কাজী কখন আসবে জানতে চাইলে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন। পরে দফায় দফায় ধর্ষণের পর রাত ১১টার দিকে কাজী আসবে কী না জানতে চান ওই নারী। এসময় কক্ষের বাইরে গিয়ে ফোনে কথা বলে ১০ মিনিট পর হোটেল কক্ষে গিয়ে ইকরাম জানান কাজী অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন আসতে পারছেন না। এরপর রাতভর ওই নারীকে হোটেল কক্ষে ধর্ষণ করেন ইকরাম হোসেন। রাতে নারীর গলায় পরিহিত স্বর্ণের চেই ছিড়ে গেলে তা মেরামত করে দেয়ার কথা বলে নিয়ে নেয় ইকরাম হোসেন। 

ভুক্তভোগী নারী বলেন, এরপর হতে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে চাকরির সমস্যার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে ইকরাম। এক পর্যায়ে গত ১৬ জুন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোসহ ধার নেয়া টাকা ও স্বর্ণের চেইন ফেরত দিতে পারবে না বলেও জানায় ইকরাম। এ ঘটনার পর বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নির্বাহী ম্যাসিস্ট্রেট শিহাব সারার অভিকে মৌখিকভাবে জানিয়ে কোন প্রতিকার পাননি তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। 

এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত সহকারী নাজির ইকরাম হোসেনকে। বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও। তার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

নরসিংদী আদালতের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বলেন, নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আলী আহসান অভিযোগটি আমলে নিয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2