• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

২৪ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসনের সহায়তা মেলেনি ফেনীর দুর্গত এলাকায় 

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ৯ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
২৪ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসনের সহায়তা মেলেনি ফেনীর দুর্গত এলাকায় 

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুই উপজেলার ২০টি স্থানে ভাঙনে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। এতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের অভিযোগ, বাঁধ ভাঙার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সহায়তা মেলেনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুইটি, অলকায় তিনটি, শালধর এলাকায় একটি, ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুইটি স্থানে ভেঙেছে। এছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুইটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকাল থেকে এসব স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করে। এখনো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। 

ফুলগাজীর মুন্সিরহাট গাইনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আছমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, রাত থেকে ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে। কিছু জিনিসপত্র ওপরে তুলেছি। এখনো প্রশাসনের কাউকে এলাকায় আসতে দেখিনি। খাবার ও নিরাপদ পানি সংকটে পরিবার নিয়ে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গেল বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকদের দায়সারা কাজের কারণে আবারও পানিতে ডুবতে হয়েছে। 

ফুলগাজী উত্তর শ্রীপুর নাপিতকোনা এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বিকেলে স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও বাঁধ রক্ষা করা যায়নি। পানি ঢুকে বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলেও খাবার ও পানির জন্য বেশি কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা আর এভাবে পানিতে ভাসতে চাই না, টেকসই বাঁধ চাই। 

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কিছু এলাকায় শুকনো খাবার, স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠিয়েছি। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে তাদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় টানা তিন দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকালের তুলনায় বৃষ্টিপাত কমেছে। আগামীকালও জেলাজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি বন্ধ থাকলে বাঁধে ভাঙনের শঙ্কা কমবে। এখন ভাঙন এলাকা দিয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2