দুই শিশু কন্যাকে পানিতে ফেলে হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন মা

ছবি: শান্তা বেগম
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে দুই শিশু কন্যা সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মা।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে কন্যাদের হত্যার কথা স্বীকার করেন মা শান্তা বেগম। পারিবারিক কলহের জের ধরেই সন্তানদের পানিতে ফেলে দেন বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম মিঞা গণমাধ্যমকে জানান, জমজ শিশু হত্যার ঘটনার ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণের আবেদনসহ আসামি শান্তা বেগমকে আদালতে আনা হলে আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে বিচারক আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বিবন্দী গ্রামের দিনমজুর সোহাগ শেখের সাথে প্রায় দুই বছর আগে একই উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে শান্তা বেগমের বিয়ে হয় । ৫ মাস আগে শান্তা যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করে। যজন কন্যা সন্তান প্রসব বিষয়টি সাধারণভাবে মেনে নেয়নি সোহাগ শেখ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। শান্তা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকলেও বেশ কয়কদিন আগে স্বামীর বাড়িত আসে।
গেলো সোমবার রাত ৮টার দিকে সোহাগের ঘর থেকে হট্টগোলের শব্দ শুনে প্রতিবশীরা এগিয়ে এসে জানতে পারেন তাদের দুই কন্যা লামিয়া ও সামিহাকে পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এসময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনার পর শিশু দুটির বাবা সোহাগ শেখ ও মা শান্তা বেগমকে আটক করে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: