ছয়দিনেও খোঁজ মেলেনি চবি শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের

ছবি: অরিত্র হাসান
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও ছয়দিনেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ অপর শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের।
উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়েছে একাধিক সংস্থা ছাড়াও বিমান বাহিনীর ড্রোন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগরের মাঝে ও উপকূলের তীরে চালানো হচ্ছে চিরুনী অভিযান। জীবিত না হোক অন্তত মরদেহটি যেন খুঁজে পাওয়া যায় এ আশায় সৈকতে অপেক্ষার শেষ নেই স্বজনদের।
গত ৮ জুলাই সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫ শিক্ষার্থী কক্সবাজার বেড়াতে যায়। তারা কক্সবাজার শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে হিমছড়িতে যান। সৈকতে ৩ বন্ধু গোসল করতে গিয়ে ঢেউয়ের তোড়ে নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে কে এম সাদমান রহমান সাবাব ও আসিফ আহমেদের মরদেহ আলাদাভাবে উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়ার ২২ বছরের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। ঘটনার পর থেকে বাবা-মাসহ স্বজনরা কক্সবাজার সৈকতে।
নিখোঁজের পর থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, লাইফগার্ড ও বীচকর্মীদের বিরামহীন উদ্ধার অভিযান। পাশাপাশি গত শনিবার থেকে উদ্ধার অভিযানে ড্রোন নিয়ে যুক্ত হয়েছেন বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। স্পিডবোট নিয়ে মহেশখালী, সোনাদিয়া, নাজিরারটেকসহ আশেপাশের এলাকাতেও চলছে তল্লাশি। উদ্ধার অভিযানের দীর্ঘ ৬ দিন পার হলেও সন্তানের সন্ধান না পাওয়ায় মরদেহ খুঁজে পেতে প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন অরিত্রের পরিবার।
সমুদ্রে দুর্ঘটনার কারণে এ পর্যন্ত যারা মারা গেছে এর বেশিরভাগ মরদেহ পাওয়া গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের আশা নিখোঁজ অরিত্রের মরদেহও পাওয়া যাবে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অসাবধানবশত গোসলে নেমে গেল কোরবানির ঈদ থেকে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামিতে পর্যটকদের মৃত্যু রোধে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: