পদ্মার তীব্র স্রোতে ধাওয়াপাড়া–নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত

পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেওয়াতে রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া (যৌকুড়া) ও পাবনার নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচলা ব্যাহত হচ্ছে। এই ধাওয়াপাড়া থেকে নাজিরগঞ্জ নৌরুটে সকাল ৯টা, দুপুর সাড়ে ১২টা, বিকাল ৫টা ও রাত ১০টায় ফেরি চলাচল করে। তবে নির্দিষ্ট সময় ফেরি ছেড়ে না যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১১আগস্ট) বিকালে ধাওয়াপাড়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায় বেশকিছু ট্রাক ও মাইক্রোবাস সিরিয়াল দিয়ে দাড়িয়ে আছে। ঘাটে ফেরি থাকলেও ফেরিতে উঠছে না যানবাহন। ফেরি বন্ধ থাকায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও স্প্রীড বোটে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে জনগণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ রুটে নিম্নমানের মাত্র দুটি ফেরি চলাচল করে। এর মধ্যে ‘করবী’ ফেরিটি কিছুদিন আগে সমস্যা হয়, সেই কারণে ফেরিটি বন্ধ রয়েছে এবং ফেরিটি ঘাটে নোঙর করা আছে। অন্য ফেরি ‘ক্যামেলিয়া’ এতোদিন চললেও আজ সকালে তীব্র স্রোতের কারণে মাঝনদী থেকে ফিরে আসে। বিকালে গৌরী নামের একটি ফেরি আরিচা থেকে আসে তারপর যানবাহন নিয়ে পাবনার নাজিরগঞ্জের উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে।
মো. মোশরফ হোসেন নামের এক ট্রাক চালক বলেন, খোকশা থেকে পাবনার যাওয়ার উদ্দেশ্যে এসেছি রবিবার রাত ৯টায়। তখন কতৃ্র্পক্ষ বলে ফেরি সমস্যা সকালে ছাড়বে। সারা রাত বসে আছি। সকালে ফেরি ছাড়লেও তীব্র স্রোতের কারণে এবং ফেরির সমস্যার জন্য আবার এই ঘাটেই ফিরে আসে। কর্তৃ্পক্ষ বলে কখন ঠিক হয় নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। অন্য একটি ফেরি আরিচা থেকে আসবে তারপর চলাচল শুরু হবে। আপনারা চাইলে টিকিটের টাকা ফেরত নিতে পারেন। কিন্তু অনেক ঘুরে যেতে হবে বলে বসে আছি।
মাইক্রো চালক লতিফ বলেন, আমি রাজবাড়ীর গোদারবাজার থেকে একটি বিয়ে নিয়ে আসছিলাম। রবিবার রাত ৯টা থেকে ঘাটে বসে আছি। কখন আরিচা থেকে ফেরি আসবে কি জানি। এখানে খাওয়া-দাওয়া অনেক কষ্ট,থাকা কষ্ট, শৌচাগার মানসম্মত না। অনেক কষ্ট হচ্ছে আমাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা শিরাজুল ও মঞ্জু বলেন, এই ফেরি ঘাটটি আধুনিকায়ন করতে হবে। মাঝে মাঝেই ফেরি নষ্ট হয়ে যাই। এতে চালকদের ভোগান্তিতে পরতে হয়। এই ঘাটে দিয়ে অনেক যানবাহন পারাপার হয়। এই ঘাট সবসময় চালু থাকলে স্থানীয় জনগণ লাভবান হবে । উত্তর অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।
ধাওয়াপাড়া ফেরিঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক বাণিজ্য রবিউল ইসলাম বলেন, নদীর তীব্র স্রোতের কারণে রুটের দুইটি ফেরি চলতে পারছে না। আরিচা ঘাট থেকে গৌরী নামে একটি ফেরি আনা হয়েছে এবং বিকাল থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা ফেরির বেপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন ফেরি পেতে পারি।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: