• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

খাগড়াছড়িতে হেফাজতের কমিটি গঠনের পরই ১৮ নেতার পদত্যাগ 

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১৪ আগস্ট ২০২৫

ফন্ট সাইজ
খাগড়াছড়িতে হেফাজতের কমিটি গঠনের পরই ১৮ নেতার পদত্যাগ 

গঠিত কমিটিকে পতিত আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে ও কমিটি প্রত্যাখান করে খাগড়াছড়ি জেলা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কমিটি ঘোষণার পরপরই ৩৬ জনের মধ্যে ১৮ নেতৃবৃন্দের পদত্যাগ করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে খাগড়াছড়ি জেলা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়। 

কাউন্সিলে ৩৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হলে কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে কিছু নেতৃবৃন্দ এমন পকেট কমিটি মানি না মর্মে প্রতিবাদ জানান। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাৎক্ষণিক  ১৮ জন নেতৃবৃন্দ নতুন ঘোষণা হওয়া কমিটি থেকে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেন। 

নেতৃবৃন্দের অভিযোগ যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে এগুলো বেশিরভাগই পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর।

কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর্জা ইসমাইল সাদী। সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা ফজলুল করিম ফারুকী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ক্বারী ওসমান নূরী।

কাউন্সিলে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আলেম-ওলামা ও তৃণমূল কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রচার-প্রসারে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

তাৎক্ষণিক পদত্যাগকারী নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, আজকের যে কাউন্সিল গোপন ভোটের মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিলো সেখানে কাউন্সিলর ছিলো পুরো জেলার ১১৫ জন। তারা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে কমিটির নেতা নির্বাচন করার কথা থাকলে এখানে এসে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা সুবিধাভোগী নেতাকর্মী ছিলো তাদের কথা শুনে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা ভোটের মাধ্যমে বাছাই না করে নিজেদের মতো কমিটি ঘোষণা করে। যা এই জেলার জন্য মানুষের জন্য কাম্য নয়। আমরা এই কমিটি মানি না। 

কমিটির ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ঘোষণা দেন। সেখান থেকে আমরা বিভিন্ন পদের ১৮ জন পদত্যাগ ঘোষণা করছি। আমরা এমন কমিটি কখনো মানবো না বলে মন্তব্য করেন।

তারা আরও বলেন, গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে যদি কমিটি করা হতো তাহলে নেতৃবৃন্দরা খুব সুন্দরভাবে এই জেলার মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারতো। তাদের মাধ্যমে এই জেলার মানুষের কোনো উপকার হবে না। যাদেরকে মূল দায়িত্বে রাখা হয়েছে তারা কেউ এই জেলায় থাকে না। এখানকার বাসিন্দাও না। তাহলে এখানকার মানুষের কি খেদমত তারা করবেন।

মন্তব্য করুন: