অবরোধে স্থবির বাগেরহাট জেলা

বাগেরহাট-০৪ আসন বিলুপ্ত ও বাগেরহাট-০৩ আসন বিভাজনের প্রতিবাদে জেলা জুড়ে চলছে সর্বাত্মক অবরোধ।
রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
এ অবরোধের কারণে সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ইপিজেড, শিল্পকলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খেয়া ও ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে।মোংলা বন্দর জেটি থেকে সড়ক পথে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।তবে পন্য উঠানামার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
আসন পুনর্বহালের দাবিতে মোংলা- খুলনা মহাসড়কের কাটাখালী, ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া, মোংলার দিগরাজ, বাগেরহাটের মোল্লাহাট ও ফকিরহাটসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে চলছে সর্বদলীয় সর্বাত্মক অবরোধ। অবরোধ সফল করতে ভোর থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। অবরোধের কারণে জেলার কোনো উপজেলা থেকেই ভোরে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। চলছে না অভ্যন্তরীণ যানও।
মোংলা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. জুলফিকার আলী বলেন, অবরোধ সফল করতে ভোর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোংলা নদীর খেয়া পারাপার ও ফেরি চলাচল। এতে এমনিতেই বন্ধ হয়ে গেছে ইপিজেড। আর সকড় পথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল শিল্পকলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। শুধু জরুরি সেবা চালু রয়েছে। আসন ফিরে পাওয়ার দাবিতে বাগেরহাটের সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি সর্বাত্মক এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
এ অবরোধে বাগেরহাট থেকে খুলনা-মাওয়া-ঢাকা রুট অচল হয়ে পড়েছে। এতে কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাগেরহাট।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইসির এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা আপত্তি দাখিল করেছি। এ ইস্যুতে সোমবার ইসি কার্যালয়ের সামনে বাগেরহাটবাসীর অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। আশা করছি ইসি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আমাদের যৌক্তিক দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ইসি রাতের অন্ধকারে বাগেরহাটবাসীর মতামত ছাড়া আসন বিলুপ্তি ও বিভাজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা কোনোভাবে মেনে নিবে না বাগেরহাটবাসী। আমরা আসন পুনর্বহালের দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। ইসি যদি তার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
গত ৩০ জুলাই ইসি বাগেরহাট-০৪ আসন বিলুপ্তি ও বাগেরহাট-০৩ আসনকে বিভাজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন কতমক কারিগরি টিম। এতে বাগেরহাটের একটি আসন কেটে গাজীপুরে আরেকটি আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইসির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও আসন পুনর্বহালের দাবিতে ৩০ জুলাইয়ের পর থেকে বাগেরহাট জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: