দরজা ভেঙে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানদের মরদেহ উদ্ধার, পাশেই বিষের কৌটা

মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকায় শিখা আক্তার (৩৫) নামে এক নারী তাঁর ছেলে আরাফাত ইসলাম আলভি (৯) ও মেয়ে সাইফা আক্তারকে (২) নিয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে ভাড়া বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিখা আক্তার মালয়েশিয়া প্রবাসী দেওয়ান শাহীন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী। শাহীন আহমেদ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্দারমানিক এলাকার আব্দুর রহমান দেওয়ানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইট ট্যাবলেটের একটি খালি কৌটা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া আলমগীর বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেওয়ার জন্য শিখার বাসার দরজায় নক করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তিনি ভেবেছিলেন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালে আবারও কল করলে সাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে খবর দেন।
বাড়ির মালিক মুক্তাদির বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত এসে ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে পাশের বিল্ডিং থেকে জানালা দিয়ে ভেতরে তিনজনের লাশ দেখতে পায়। দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে খাটে শিখার লাশ এবং ফ্লোরে ছেলে ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত মাসের ১৫-১৬ তারিখের দিকে শিখা আক্তার তাঁর স্বামী শাহীন আহমেদকে নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন। পরদিন শাহীন মালয়েশিয়া ফিরে যান। এরপর শিখা আক্তার বাসা ছেড়ে চলে যান। চলতি মাসের ৭-৮ তারিখের দিকে আবার তিনি সন্তানদের নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন বলেন, নিহত শিখা আক্তার শাহীন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং শাহীন আহমেদও তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। ছেলে আরাফাত ইসলাম আলভি শিখার প্রথম স্বামীর সন্তান আর মেয়ে সাইফা আক্তার শাহীনের সন্তান। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, শিখা আক্তার দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।’
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: