১৪৪ ধারা বহালের মধ্যেও খাগড়াছড়ির সাপ্তাহিক হাটে পাহাড়ি-বাঙালির মিলন মেলা
নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার

১৪৪ ধারা জারি থাকলেও যেন স্বাভাবিক খাগড়াছড়ি শহর। সেই আগের চিত্র। সাপ্তাহিক হাটের দিন খাগড়াছড়ি বাজার পাহাড়ি-বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। মাত্র কয়েক দিন আগে একটি ধর্ষণের ইস্যু বানিয়ে সহিংসতার মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালির সম্প্রীতি নষ্টের পায়তারা হলেও আজ সাপ্তাহিক হাটের দিন তার কোনো প্রভাব পড়েনি। অতিরিক্ত মানুষের চাপে শহরে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। এই সম্প্রীতির মিলবন্ধনে খুশি পাহাড়ি-বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতারা।
টানা চারদিন পর জুম্ম ছাত্র-জনতার মিডিয়া উইং তাদের ডাকা অনিদিষ্টকালের সড়ক অবরোধ মঙ্গলবার রাত থেকে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা করেছে। ফলে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সড়ক ছাড়াও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে বুধবার সকাল থেকে যানবাহন চলাচল করছে। ১৪৪ ধারা বহাল থাকলেও খাগড়াছড়ি শহরের সকল দোকানপাট খোলা রয়েছে। তবে মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ আমর্ড পুলিশ। এছাড়া খাগড়াছড়িতে জেলা সদরে মোতায়েন রয়েছে ১০প্লাটুন বিজিবি।
উল্লেখ, কথিত স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে আন্দোলন ও সহিংসতার জেলার গুইমারা তিন পাহাড়ি নিহতসহ জেলায় অন্তত অর্ধশতাধিক পাহাড়ি বাঙালি আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন মেজরসহ সেনাবাহিনীর ১৬ সদস্য ও ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সেনাবাহিনীর গাড়ী ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলা হয়েছে। জেলা সদরের স্বনির্ভর, মহাজন পাড়ায় ও গুইমারায় প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। মহাজন পাড়ায় প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। কিন্ত গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে ছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন: