• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য  

প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছায় চলে বরগুনার আমতলী প্রাথমিক বিদ্যালয় 

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০৬, ৪ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ২০:০৭, ৪ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছায় চলে বরগুনার আমতলী প্রাথমিক বিদ্যালয় 

বরগুনার আমতলী প্রাথমিক বিদ্যালয় 

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার সময় সূচির পরিবর্তন করেছে। চালু করা হয়েছে দুই শিফট। এক শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত ও দুই শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছেন বরগুনা আমতলী উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়ন এর ৮৮নং পূর্ব কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে মানা হয়না সরকারি কোন নিয়ম কানুন। শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে আসেন বিদ্যালয়ে, ছুটিও দেন ইচ্ছেমতো।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর নিয়ম থাকলেও এখানে শিক্ষকরা আসেন ৯ থেকে ১০ টায়। বিদ্যালয়ে এসে কোনো রকমের ক্লাস নেন তারা। দুপুর একটা বাজতেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যান তারা। এতে করে শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছে তাদের শিক্ষার অধিকার এবং বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা। সেই সঙ্গে দিন দিন বেসরকারি শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা এমনটাই অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। বিদ্যালয় একদম ফাঁকা। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, আমাদের শিক্ষকরা ছুটি দিয়েছেন তাই আমরা বাড়ি যাই। 

স্কুলের পার্শ্ববর্তী ভানু বেগম বলে, স্যার ও আপারা সবাই আযানের সময় ছুটিতে চলে গেছে।

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল বলেন, আমি এসে দেখি স্কুল বন্ধ। স্যার-আপারা কেউ নেই, তারা স্কুল ছুটি দিয়ে আগেই চলে গেছেন।

স্কুলের পার্শ্ববর্তী বাদশা কাজী বলেন, একটা সময় ছুটি দিয়েছে বিষয়টা আমি জানিনা, যদি থাকেন, তবে অন্যায় করেছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজ্জাক ওরফে টিপুর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি জানান, একটার সময়ে স্কুল ছুটি দিয়েছি। সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে কেন এতো তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দিয়েছেন কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ কৈফিয়ত আপনাদের কাছে দিতে আমি বাধ্য নই এবং আপনারা কেন ফোন দিয়েছেন? আমি কৈফিয়ত দেওয়ার দরকার হলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের কাছে দেবো।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান জানান, রমজান মাস উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। কোন স্কুল যদি এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাহলে এটা অন্যায়। কেউ সরকারি এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ করে থাকেন খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবো। 

বিভি/এসআই/এইচএস

মন্তব্য করুন: