• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ি ঢলে নিমেষেই তলিয়ে গেলো ৫০০ একর জমির ফসল

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ৫ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ০৭:১৮, ৫ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
পাহাড়ি ঢলে নিমেষেই তলিয়ে গেলো ৫০০ একর জমির ফসল

চোখের সামনে ফসল তলিয়ে যেতে দেখছেন চাষীরা।

উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলের নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়ানোর উপক্রম হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার বড়-ছোট মিলিয়ে প্রায় দেড়শ হাওরের ফসল হুমকিতে পড়েছে। এদিকে উজানের পানি নেমে দাড়াইন নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে শাল্লা উপজেলায় ৫০০ একর বোরো ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। দুর্বল বাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তুফানখালি,গুরমা ও মাটিয়ান হাওরের লাখো কৃষক। 

সোমবার (৪ এপ্রিল) দেখা যায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৫ দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটার। ২০১৭ সালের পর গত কয়েক বছরে নদীর পানি এমন উচ্চতায় প্রবাহিত হয়নি। একইদিন শাল্লা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের বাঘার বন হাওরে নদীর পানি প্রবেশ করে। কৃষকদের চোখের সামনে পুরো বছরের চেষ্টা, শ্রম ও আশা পানিতে তলিয়ে যায়।
 
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব, ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস, কৃষি অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু পানির প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধ রক্ষার শেষ চেষ্টা করা সম্ভব হয়নি।

এদিন দাড়াইন নদীতে প্রায় ৪ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দু’তিনদিন এ হারে পানি বাড়লে উপজেলার জোয়ারিয়া, কৌইয়া, কোনারবন, পুইট্টা, নাইপতার চরের হাওর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব হাওরের প্রায় ২ হাজার একর বোরো ফসলি হুমকির মধ্যে রয়েছে।

শাল্লা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস বলেন, বাঘা বন হাওরটিকে রক্ষা করা যায়নি। নদীর পার নিচু হওয়ায় পানির প্রবল চাপে বাঁধ ভেঙে যায়। এতে প্রায় ৫০০ একর জমি ছিল বলে এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব জানান, নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি এবং প্রচণ্ড বাতাসে বেড়িবাঁধের বাইরে বাঘা বন নামে নিচু হাওরটি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা বাঁধ রক্ষার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি।
 
সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জি-মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের নদীগুলোতে পানি বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৪ মিলিমিটার, কিন্তু ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৫২ মিলিমিটার।

জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন রবিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গুয়া-মাটিয়ান হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। সোমবার দুপুরে জেলা হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মনিটরিং কমিটির জরুরি সভায় হাওরের বাঁধ রক্ষায় নিয়োজিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ফসল রক্ষা বাঁধে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2