• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দুই পক্ষের সংঘর্ষ:  আতঙ্কে নারীর মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:২২, ২১ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
দুই পক্ষের সংঘর্ষ:  আতঙ্কে নারীর মৃত্যু

ফরিদপুরের সালথায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ১৯টি বসতঘর। সংঘর্ষচলাকালে আতঙ্কে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযােগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজলার যদুনন্দী ইউনিয়নে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মােল্যা ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাে. আলমগীর মিয়াসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী জানান, যদুনন্দী ইউনিয়নোর খারদিয়া গ্রামে গত ১০ এপ্রিল আমিনুল মিয়া নামে এক ভ্যানচালক হত্যার গুজব রটিয়ে প্রতিপক্ষের অন্তত ১৪টি বাড়ি ও একটি ইট ভাটায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মােল্যা সমর্থকদের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাে. আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের উত্তেজনা চলছিলো।

 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয় মুখামুখী অবস্থানে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত এভাবে চলে। সংঘর্ষ চলাকালে আতঙ্কে খারদিয়া উধুরী পাড়ার ওহাব মােল্যার স্ত্রী মেহেরুন বেগম স্ট্রোক করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকল কলেজ হাসপাতাল ও বােয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে নজরুল খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।  

এদিকে সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের সামাদ মাতুব্বরের ২টি, গােলাম মওলার ২টি, হারুন শিকদারের ১টি, লিখন মােল্যার ১টি, দিলু মিয়ার ১টি, বিশু খন্দকারের ২টি, কুরবান খন্দকারের ১টি, ইকবাল খন্দকারের ২টি, হবি শেখের ১টি, আয়ুব খন্দকারের ২টি, দেলা মৃধার ১টি, বাবুল মৃধার ১টি,  মনিরুল মৃধার ১টি ও সবুর মৃধার ১টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। 

উভয় গ্রুপের নেতৃস্থানীয়দের থানায় আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ফলে সংঘর্ষের বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাে. শেখ সাদীক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক দফায় শর্টগানের ৩২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের দলনেতা ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মােল্যা ও আ.লীগ নেতা মাে. আলমগীর মিয়াসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকার পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মােতায়ন করা হয়েছে।
 

বিভি/এইচএ/এএন

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2