মোংলায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক এক
মোংলায় ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২২ মে) রাতে উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাকোড়ঢোনের আবাসন প্রকল্পে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. নাসির হাওলাদারকে (৫২) আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। আটক নাসির হাওলাদার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাকোড়ঢোন পাকখালি আবাসন প্রকল্পের মৃত মজিদ হাওলাদারের ছেলে।
অভিযুক্ত মো. নাসির হাওলাদার ধর্ষণের শিকার শিশুটির দূর সম্পর্কের ফুফা হয়। শিশুটির বাবা আনুমানিক ৪ বছর আগে মারা গেছেন। অভাবের তাড়নায় মা সৌদি প্রবাসী হয়ে যান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মায়ের নিকটতম কোনো আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ না থাকায় তার আরেক বোনকে আশ্রয়ী হিসেবে রাখে অভিযুক্ত মো. নাসির হাওলাদার এবং তাদের খরচ বাবদ সৌদি থেকে মাসিক টাকাও পাঠান তাদের মা।
ওই কিশোরী নাসির হাওলাদারের বাসায় আসার পর থেকেই নাসির বিভিন্ন সময় কিশোরীকে নানা রকম কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার এই কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভয় ভীতিসহ হুমকি দেওয়া হয়।
রবিবার (২২ মে) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কিশোরী শারীরিকভাবে অসুস্থ্যবোধ করলে চাঁদপাই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাকোড়ঢোন ৯০ ব্যারাকের পাকখালি আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী জনৈক আনন্দ সরকারের রুমের পাশে অভিযুক্ত মো. নাসির হাওলাদারের চায়ের দোকানের ভিতরে থাকা তার শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় দোকানে কেউ না থাকায় রাত আনুমানিক ৯টার দিকে অভিযুক্ত মো. নাসির হাওলাদার তার কামনা চরিতার্ধ করার জন্য ঘুমন্ত শিশুটির শরিরের উপর উঠে। হঠাৎ শিশুটির ঘুম ভেঙ্গে গেলে শিশুটি চিৎকার করলে তাকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও হাত দিয়ে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি দেয়। পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী ঘটনাটি ওই আবাসনের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার খাঁকে জানায়।
মোংলা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত নাসির হাওলাদারকে আটক করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) গ্রেফতারকৃত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি নাসির হাওলাদারকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিভি/জেইউ/এএন
মন্তব্য করুন: