• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নড়াইলে অধ্যক্ষকে অপদস্থ; আ.লীগ সভাপতিকে অব্যাহতি

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ১ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
নড়াইলে অধ্যক্ষকে অপদস্থ; আ.লীগ সভাপতিকে অব্যাহতি

নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অপদস্থ করার ঘটনায় বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। আকতার হোসেন ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে নড়াইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অচিন কুমার চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অচিন কুমার চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আকতার হোসেনকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মশিয়ার রহমানকে বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

আকতার হোসেনকে কারণ দর্শানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের এক ছাত্রের মোবাইলে স্ট্যাটাস নিয়ে এক সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আপনি ওই কলেজের একজন শিক্ষক। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আপনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে দেখা যায়, আপনার উপস্থিতিতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরিয়ে বের করে আনা হয়, যা নিন্দনীয় ও শিক্ষকসমাজকে হেয়প্রতিপন্ন করার শামিল। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও মিডিয়ার খবরে আপনাকে জড়িত করে সংবাদ হচ্ছে। সে কারণে আপনি এর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আমরা মনে করি, আপনি সভাপতি হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।’

আকতার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘অব্যাহতিপত্র হাতে পেয়েছি। তবে আমার বিরুদ্ধে শুধু শুধু অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি উত্তেজিত ছাত্র-জনতাকে সামলাতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে, তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।’

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অপদস্থ করার ঘটনার শুরু একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। কলেজেরই একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ভারতের বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে ১৭ জুন পোস্টটি দিয়েছিল। পরদিন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজের শিক্ষক, ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের কয়েক সদস্যকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীকে নিয়ে যেতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়। অপদস্থ করা হয় শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: