৪ সন্তানের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন দরজি বাবা

এক সঙ্গে দুই মেয়ে এবং দুই ছেলের বাবা হয়েছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের বড় ছয়সূতী গ্রামের ফাইজুর ও লাকি দম্পতি। সন্তান পেয়ে পুরো পরিবার আনন্দে ভাসলেও তা খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। কারণ, অভাবের তাড়নায় ৪ শিশু সন্তানের প্রতিদিনের খরচ জোগাতে পারছে না পরিবারটি।
গত বছরের ৬ এপ্রিল দুপুরে জেলার বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে লাকি আক্তার চার সন্তানের মা হন। ছেলেদের নাম হাসান ও হুসাইন। মেয়েদের নাম আসমা ও হাফসা।
ফাইজুর দরজির কাজ করেন। যে টাকা আয় হয়, তা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। নাড়িছেঁড়া ধন প্রিয় সন্তানদের প্রতিদিনের দুধ, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন দরজি বাবা। এতে চরম হতাশায় দিন কাটছে সন্তানের বাবা-মায়ের।
ফাইজুর রহমান জানান, সিজারিয়ান অপারেশন করতে ওষুধসহ খরচ পড়েছে অনেক টাকা। তখন কিছু সহায়তা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চার সন্তান বড় হচ্ছে। তাদের খাবার দুধ, ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনতে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ পড়ছে। দরজির কাজ করে সামান্য আয়ে কোনোভাবে চলেন। তাতে বাচ্চাদের খরচ মেটাতে পারছি না। আবার কোনো মাসে আয় হয় না। তখন দোকান বাকিসহ প্রতিদিনই ঋণ বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘একটি সন্তানের জন্য আল্লাহ কাছে অনেক প্রার্থনা করেছি। অনেক হসপিটালে ঘুরেছি। অবশেষে আল্লাহ আমাদের চার সন্তান দিয়েছেন। এখন তাদের লালনপালন নিয়ে আছি দুশ্চিন্তায়। সমাজের হৃদয়বান কোনো ব্যক্তি যদি এগিয়ে আসে, তাহলে তাদের খাওয়াতে পারবো। নইলে ঋণের ভারে আমি জর্জরিত হয়ে যাবো।’
সমাজের হৃদয়বান ও সামর্থবান মানুষের কাছে সহায়তা চেয়ে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফাইজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে (বিকাশ পার্সোনাল) ০১৯১৭-৬৩২৫৭৪ এই নম্বরে।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: