• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সাতক্ষীরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ৯ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
সাতক্ষীরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালি গ্রামের ৮ নং ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু ও সাবেক ইউপি সদস্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারী গ্রুপের সদস্যদের মাঝে এ তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, টেংরাখালী গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর পুত্র ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারীর ভাইপো আমির হোসেন (৩৫) এবং আব্দুল বারী সমর্থিত একই গ্রামের ছাকাত শেখের ছেলে আব্দুল কাদের (৫০)। 

আহতরা হলেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী সমর্থিত ওই গ্রামের আব্দুল হান্নান, আফছার গাজী, ইব্রাহীম গাজী, ইমান আলী গাজী, আক্তার আলী গাজী, আলমগীর কয়াল, মোস্তফা গাজী, আব্দুস সোবহান, নুরুজ্জামান গাজী, আব্দুল আলিম মাঝি, রউফ গাজী ও ছিদ্দিক গাজীসহ কমপক্ষে ২২ জন। বর্তমান ইউপি সদস্য লাল্টু সমর্থিত আহতরা হলেন, নাসিরউদ্দিন, সোবহান, সাদেক, আলাউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, ফারুক মোল্লা ও সিরাজুল ইসলাম।

ঘটনার পর শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ট্যংরাখালি ৮নং ওর্যাড সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী ও তার সমর্থক ইটভাটা শ্রমিক সর্দার ট্যাংরাখালি গ্রামের আব্দুল কাদের এক বছর আগে স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী রেজাউল ইসলামের কাছে একটি সিলিং ফ্যান মেরামত করতে দেন। এ সময় তাকে ৩০০ টাকাও দেওয়া হয়। ফ্যানটি দীর্ঘ সময়ে মেরামত করে না দেওয়ায় গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে রেজাউল ও কাদেরের মধ্যে বচসা হয়। বচসার এক পর্যায়ে তার সমর্থক ও বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর সমর্থকদের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে ট্যাংরাখালি বাজারে এলে লাল্টু সমর্থকরা তার সমর্থক নাজির আলীকে মারপিট করে। এরপর সন্ধ্যায় আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে তার সভাপতিত্বে বিশেষ সভা চলাকালে বর্তমান ইউপি সদস্য বিএনপি কর্মী আব্দুল হামিদ লাল্টুর নেতৃত্বে তার সমর্থিত শতাধিক লোক হাতে দা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে ঢোকে। এ সময় হামলাকারিরা তার ভাইপো আমীর হোসেন ও আব্দুল কাদেরসহ কমপক্ষে ২২ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ অফিস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমির হোসেন ও আব্দুল কাদেরসহ ২২জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর রাতে তার ভাইপো আমির হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গুরুতর জখম আব্দুল কাদেরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পথে শনিবার সকালে তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে আব্দুল হামিদ লাল্টুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার ছেলে মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, পূর্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে বারী সমর্থকরা তার বাবা লাল্টু সমর্থকদের হামলা করার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী খবর পেয়ে লাঠিসোঠা কেড়ে নিয়ে বারী সমর্থকদের পিটিয়ে গ্রামছাড়া করে। তবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে তিনিসহ তাদের পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মূর্শেদ দুই জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতেদর মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো মামলা দায়ের করেননি। তবে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: