• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

এবার এলএসডিতে আক্রান্ত হয়েছে গরু

প্রকাশিত: ২৩:২০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
এবার এলএসডিতে আক্রান্ত হয়েছে গরু

ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন জেলায় হঠাৎ দেখা দিয়েছে গরুর এলএসডি বা ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ।  এ নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গরু মালিকরা। এক ধরনের বসন্ত রোগই হলো এলএসডি।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরেও সম্প্রতি বেড়েছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব। দুর্গাপুর উপজেলায় এরই মধ্যে ২০০ গরু এলএসডি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বাগমারা উপজেলার দামনাশ, গোবিন্দপাড়া, পারদামনাশ, ভবানিগঞ্জ; পবা উপজেলার কেশরহাট, মোহনপুরেও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া যশোর কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার অনেক গ্রামে গরুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে এলএসডি। রাজশাহীর তানোরে সারাবছরই প্রতিদিন দু-একটা গরুর চিকিৎসা করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বিল্লাল হোসেন। 

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিয়মিত টিকা কার্যক্রম বছরজুড়েই চালু রয়েছে। ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হবে না। তবে, প্রতিরোধের কিছু উপায় রয়েছে।

খামারিরা বলছেন, দিন বিশেক আগে থেকে শুরু হয়েছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব। বর্ষার শুরুতে ও বন্যার পরবর্তী সময়ে বেশি দেখা যায়। ভাইরাস রোগ হওয়ায় এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রাণী চিকিৎসকরা বলছেন, দেশের সব জায়গায় অতিরিক্ত আকারে দেখা দিয়েছে গরুর এলএসডি বা ল্যাম্পিস্কিন ডিজিজ। এলএসডি গরুর জন্য একটা ভয়ংকর ভাইরাসবাহিত চর্মরোগ। এই রোগের গড় মৃত্যুহার আফ্রিকাতে ৪০ শতাংশ। মূলত আফ্রিকায় একাধিকবার মহামারি আকারে দেখা গেলেও বাংলাদেশের গরুতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব কখনো মহামারি আকারে দেখা যায়নি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এটি মূলত এক প্রকার পক্স ভাইরাস বা এলএসডি ভাইরাসের সংক্রমণে গবাদিপশুতে এই রোগ দেখা দেয়। এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে অথবা বসন্তের শুরুতে রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসার সম্পর্কে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, এলএসডি আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর হয়, খাওয়ার রুচি কমে যায়। নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়। পা ফুলে যায়। সামনের দু’পায়ের মাঝখানে পানি জমে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গার চামড়া পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্ট হয়। পাকস্থলী অথবা মুখের ভেতরে সৃষ্ট ক্ষতের কারণে গরু পানি পানে অনীহা প্রকাশ করে।

লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগটি অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যমগুলো হচ্ছে মশা, নালা, গভীর দুধ ও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ। তবে, সবচেয়ে ভালো বিষয়- এই রোগে কেবল গরু-মহিষ আক্রান্ত হয়, মানুষ হয় না।

এলএসডিতে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত গরুকে নিয়মিত এলএসডি ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। দেশে এর আগে রোগটির প্রাদুর্ভাব কম দেখা গেছে তাই এই রোগের ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। খামারের ভেতরের এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, যেন মশা-মাছির উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

আক্রান্ত খামারে যাতায়াত বন্ধ করা এবং আক্রান্ত খামার থেকে আনা কোনো সামগ্রী ব্যবহার না করা। আক্রান্ত গরুকে শেড থেকে আলাদা স্থানে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখা যাতে মশা মাছি কামড়াতে না পারে।

মন্তব্য করুন: