ডুমুরিয়ায় সমিতিতে টাকা লগ্নি করে দিশেহারা ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য
খুলনার ডুমুরিয়ায় তিনটি সমিতিতে টাকা লগ্নি করে দিশেহারা ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য। শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সমিতির কর্মকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ করা ও খাস জমি দখল স্বত্বে বায়না দেখিয়ে টাকা সরিয়েছে জনতা সমিতির দায়িত্বশীলরা। দেউলিয়া হয়েছে অগ্রণী ও আমভিটা সমিতি। টাকা ফেরত পেতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে গ্রাহকরা।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়ার জনতা, অগ্রণী ও আমভিটা সমবায় সমিতিতে শেষ সম্বল আমানত রেখে পথে বসেছে সাধারণ মানুষ।
জনতা ঋণদান ও বহুমুখী সমিতির আমানত ও সঞ্চয় ১০০ কোটি টাকারও বেশি। সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এস এম গোলাম কুদ্দুস ও তার দুই সন্তান। সমিতির নামে সরকারি জমি প্লট আকারে বিক্রি করেছেন তারা। আর গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন থুকড়ার অগ্রণী ও আমভিটা সমবায় মৎস্য ও কৃষি খামার সমিতির মালিকরা। রাতারাতি হয়েছেন গাড়ি-বাড়ির মালিক।
সমিতির কার্যক্রম গুটিয়ে নিলেও গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেয়ার বিষয়ে কিছুই বলছে না সমিতি কর্তৃপক্ষ।
খুলনা জেলা সমবায় কর্মকর্তা বলছেন, গ্রাহকের আমানত দিয়ে সমিতির স্থায়ী সম্পদ করা ঝুঁকিপূর্ণ।
আলোচিত তিন সমবায় সমিতির মালিকরা যেন পালাতে না পারে, সে বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ চায় ভুক্তভোগীরা।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: