৭ বছর প্রেমের পর বিয়ে, ৪৯ দিন পর করুণ পরিণতি

প্রতীকী ছবি
৭ বছর প্রেমের সম্পর্ক। তারপর পারিবারিকভাবে বিয়ে। বিয়ের ৪৯ দিরে মাথায় গৃহবধূ কলেজ ছাত্রী শান্তা ইসলামের (২২) মৃত্যু। এই মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এটা কি হত্যা? না কি আত্মহত্যা? তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাকুড়ী গ্রামে। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ৭ বছর আগে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাকুড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. ওহিদ ফকিরের মেয়ে শান্তা ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সময় শান্তা অষ্টম শ্রেনীতে পড়ত। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শান্তা শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলেন।
গতকাল বুধবার (১৯ এপ্রিল) রিয়াজুল ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। গতকালই ইফতারী করার পর শান্তা গলায় ফাঁস দেয় বলে শান্তার স্বামী রিয়াজুল তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনদের মোবাইল ফোনে জানান ।
শান্তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শান্তা ইসলাম গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। তার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতে চাকরি করেন।
শান্তার বাবারবাড়ির লোকজনের অভিযোগ করেন, শান্তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন।
এ ব্যাপারে শান্তার স্বামী রিয়াজুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার এস.আই সজিব জনান ,খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটা আত্মহত্যা না হত্যা। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিভি/এমএস/এজেড
মন্তব্য করুন: