• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পিরোজপুরের ৪ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতার মামলা

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
পিরোজপুরের ৪ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতার মামলা

ছবি: মো. শফিউর রহমান (বায়ে) ও আবির মোহাম্মদ হোসেন (ডানে)

পিরোজপুরের সাবেক এসপি মো. শফিউর রহমান, সদর থানার সাবেক ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেনসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গত ২৮ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ৩৮ ঘণ্টা আটকে রেখে কুমারকে নির্যাতনের পর অস্ত্র দিয়ে মামলা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. হেলাল উদ্দিন।

মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন– সদর থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার উপ–পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর মো. জুলফিকার আলী। এছাড়া আরও ৪-৫ জনকে এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে কুমার উল্লেখ করেন, গত বছর ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভাধীন উত্তর কৃষ্ণনগর বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর থেকে সাদা পোশাকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাঁকে আটক করে। এরপর রাত ১২টার দিকে তাঁকে টহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরের দিন ভোরবেলা পুলিশ সদস্যরা হাতকড়া পড়ানোর পর কালো কাপড় দিয়ে তাঁর দুই চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর মামলার প্রধান আসামি সদর থানার তৎকালীন ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন থানার গারদের সামনে তাঁকে বেত দিয়ে মারাত্মকভাবে পেটাতে থাকে। ২-৩ মিনিট পেটানোর পর কুমার নিস্তেজ হয়ে পড়লে আবির তাকে পা দিয়ে পাড়াতে থাকে। ওই দিন থানায় আটক থাকা সকলকে আদালতে পাঠানো হলেও, কুমারকে থানায় রাখা হয়। এরপর তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে এই ধরনের স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য আবির তাঁকে চাপ দিতে থাকে। তাতে রাজি না হওয়ায় প্রচন্ড শীতের মধ্য খালি গায়ে থানার গারদের মধ্যে কুমারকে শুইয়ে রাখা হয়। এরপর ওই দিন রাতে পুনরায় হাতকড়া পড়িয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে তার বাড়ির কাছে একটি কবরস্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে একটি অস্ত্র বের করে সেটি কুমারের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ছবি তোলে পুলিশ। পরবর্তীতে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দিয়ে কুমারকে পরের দিন আদালতে পাঠানো হয়।

কুমার জানান, তাকে থানার মধ্যে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। দীর্ঘ ৪ মাস কারাভোগের পর তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। পুলিশের মতো একটি দায়িত্বশীল বাহিনীতে আবিরের মতো অসৎ কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্মম নির্যাতনের বিচার পাওয়া জন্য তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2