• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

অ্যাডভোকেটের সাহসিকতায় পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেলেন নিরাপরাধ যুবক

প্রকাশিত: ২১:০৪, ১৯ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ২১:২০, ১৯ জুলাই ২০২৩

ফন্ট সাইজ
অ্যাডভোকেটের সাহসিকতায় পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেলেন নিরাপরাধ যুবক

অ্যাডভোকেটের সাহসীকতায় পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেলেন নিরাপরাধ যুবক

পকেটে মাদক আছে- এই অভিযোগে এক যুবককে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু ওই যুবক চিৎকার চেঁচামেচি করে বলছিলেন তার কাছে  মাদক নেই। এতে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয়রা। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন একজন অ্যাডভোকেট। কৌতুহল নিয়ে তিনিও ভীড় ঠেলে গিয়ে দেখেন এই অবস্থা। পরে তার সাহসীকতায় রেহাই পান ওই যুবক।

ওই অ্যাডভোকেট তাৎক্ষণিক পুলিশের কাছে জানতে চান সত্যি কি ওই যুবকের কাছে মাদক আছে? অ্যাডভোকেটের এমন সাহসীকতায় শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সামনে তল্লাসী করে ওই যুবকের কাছে কোনো মাদক না পাওয়ায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। 

এমনি একটি ঘটনা উল্লেখ করে গত ১৬ জুলাই ফেসবুকে পোস্ট দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। ফেসবুকের ওই পোস্ট মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়া। এতে নেটিজেনরা পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। 

সেদিন আসলে কি ঘটেছিল তা জানতে কথা হয় সেই অ্যাডভোকেটের সঙ্গে। তিনি জানান, ঘটনাটি ১৪ জুলাই রাতে রাজধানীর রামপুরা আবুল হোটেল এলাকার। আর এই ঘটনাটি ঘটেছিল রামপুরা থানা পুলিশের সঙ্গে। 

তবে আইনজীবীর কথা সত্য নয় বলে দাবি ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের। রামপুরা থানার এসআই সজল সাহার দাবি- সেদিন গাজী মো. জান্নাত নামের ওই যুবক পুলিশকে দেখে ভয়ে দৌঁড় দিয়েছিল। আর এই জন্য পুলিশ তাকে দৌঁড়ে গিয়ে ধরে হ্যান্ডকাফ পরিয়েছিল।

তবে গাজী মো. জান্নাত নামের ওই যুবকের দাবি- তিনি পুলিশ দেখে কোনো দৌঁড় দেননি। উল্টো পুলিশের সোর্স হিসেবে কয়েকজন যুবক তার পথ আটকে মাদক মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল বলে দাবি ওই যুবকের। যার নেপথ্যে রামপুরা থানা পুলিশ।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো. রফিকুল ইসলাম জানান, থানা পুলিশ কোনো অন্যায় করেনি। 

তবে ঘটনা পুনরায় তদন্ত করে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী ও ভুক্তভোগী।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2