শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে ছাত্র, থানায় অভিযোগ (ভিডিও)
ক্লাস শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনদিন ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। একই স্কুলের অপর এক ছাত্রকে নির্যাতনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করে অধ্যক্ষসহ সাত শিক্ষক জামিন পাওয়ার একদিন পরই ঘটেছে এমন ঘটনা।
নির্যাতনের শিকার আজমল হক মুহিতের বাবা জানান- সেদিন ক্লাসরুমে মূল্যায়ণ পরীক্ষা চলাকালীন অন্য সহপাঠীর কাছ থেকে পেন্সিল ধার চেয়েছিল মুহিত। এতে রাগান্বিত হয়ে ক্লাস শিক্ষক মাহবুব রানা এই শিশুটিকে টেবিলের উপর মাথা চেপে ধরে বেশ কয়েকটি কিল-ঘুষি মারে। এতে শিশুটি রাত থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়। কয়েকদিন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও তাকে সুস্থ করতে না পেরে গত বুধবার ভোর রাতে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় রাজধানীর রমনা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীর পরিবার। অভিযোগটি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।
এদিকে, এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর পরিবার হাসপাতাল এবং চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে একদিকে সন্তানের সুস্থতা নিয়ে দুঃচিন্তা অন্যদিকে, আর্থিক অবস্থা নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর মা শারমিন সুলতানা।
শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষক মাহবুব রানা তরুণকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম সামসুল আলম খান।
তবে এই ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন এবং পরিবারটিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ শিক্ষার্থীকে স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনের ফেরাতে সব ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন এক অভিভাবক। ওই মামলায় পিবিআইয়ের তদন্তের পর আদালত এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানটির সাত শিক্ষকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: