ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

চাঁদা দাবি, জবরদখল ও হুমকির অভিযোগে যশোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এবার আদালতে মামলা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মেসার্স নদী বাংলা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন। 

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন-যশোর উপশহর বাবলাতলা এলাকার বাসিন্দা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, পুরাতন কসবা পাওয়ার হাউজপাড়ার আব্দুল হামিদ, পুরাতন কসবা মশিউর রহমান সড়ক এলকার বাসিন্দা নুর আলম ও পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন এলাকার আব্দুল হাই শাহাবুদ্দীন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি আব্দুল হামিদ, নুর আলম ও আব্দুল হাই শাহাবুদ্দিন শহরের গাড়িখানা রোডের ৫ শতক জমির মালিক। এ জমিতে তারা বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আমমোক্তার নামার মাধ্যমে মেসার্স নদী বাংলা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করেন। চুক্তি অনুযায়ী এ ভবনের ৪০ শতাংশ ফ্লাটের মালিকানা পাবে ওই তিনজনসহ তার শরীকেরা। ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হলে আসামিদের প্রাপ্য অনুযায়ী ফ্লাট বুঝে দেয়া হয়। ষষ্ঠতলার কাজ শুরু করলে হামিদ, আলম ও তার অপর দুই আসামির সহযোগিতা নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। 

এরপর আসামিরা কোম্পানির প্রাপ্ত ফ্লাট বিক্রি করতে বাধা দেন। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামি ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে ডেকে নদী বাংলা কাশেম টাওয়ারের নিচতলায় নিয়ে আসামি আনোয়ার হোসেন বিপুল এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে চতুর্থতলার সম্পর্ণ অংশ দখল এবং আসামি বিপুল অফিস খুলে বসেন। 

এরপর নানা দেনদরবার করে কোন লাভ হয়নি। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আসানি বিপুল ঢাকা রোড ব্রিজ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে বাদীকে দেখা করতে বলেন। সেখানে আসামি তার আড়াই কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধারে এক কোটি টাকা চাঁদা না দিলে ভবনের আশেপাশে গেলে খুন-জখম করবেন বলে হুমকি দেন। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলাটি করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।