ডিভোর্স মেনে নিতে না পেরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

ময়মনসিংহে প্রবাস ফেরত স্বামী তার স্ত্রীর ডিভোর্স মেনে নিতে না পেরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে নগরীর গুলকীবাড়ি এলাকায় ডিভোর্সি স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রওশন আক্তারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে স্বামী রাকিবুল করিম রাকিব।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘাতক রাকিবের বাড়ি নগরীর সেনবাড়ি এলাকায়। নিহত রওশন আক্তারের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার রাজুর বাজার এলাকায়।
তিনি ময়মনসিংহ নগরীর গুলকীবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ছোট মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তাদের বড় মেয়ে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ছোট মেয়ে নগরীর একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাকিব দীর্ঘদিন ধরে ওমানে কর্মরত ছিলেন। তিন মাস আগে স্ত্রী রওশন তাকে তালাক দেন। চলতি মাসের ৫ তারিখ তালাক কার্যকর হওয়ার কথা। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রীকে নিয়ে নানারকম ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাকিব। সোমবার (৩০ জুন) নিজের ফেসবুক পোস্টে রওশনকে ‘পরকীয়ায় আসক্ত’ এবং ‘চরিত্রহীনা’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
এরই জেরে মঙ্গলবার ভোরে কাজের মেয়ে সেজে বোরকা পরে রাকিব গেট খুলে গোপনে রওশনের গুলকীবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি নিজের কলেজ পড়ুয়া ছোট মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এই হত্যাকান্ড চালায়। হত্যার পর ছোট মেয়ের হাতে সম্পত্তির দলিল ও ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দিয়ে তিনি নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ডিভোর্সের পর থেকে রাকিব মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। দেশে ফিরে পরিকল্পিতভাবে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: