• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাজার কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন: সাবেক এমপি দিদারুলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৮:০৭, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
হাজার কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন: সাবেক এমপি দিদারুলের বিরুদ্ধে মামলা

আয়ের উৎস গোপন করে ব্যাংকে হাজার কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন এবং ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ আলাদাভাবে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে একটি মামলায় শুধুমাত্র দিদারুল আলমকে আসামি করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় স্ত্রী ইসমত আরা বেগমের সঙ্গে দিদারুলকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দিদারুল আলম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৭ টাকার সম্পদের মালিক। গত ২০১০-১১ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত আয়কর নথিতে তিনি ২০টি খাতে ৬৯ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ৪০৪ টাকা আয়ের তথ্য দেন। কিন্তু, দুদক অনুসন্ধানে তার প্রদর্শিত আয়ের মধ্যে ১০ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৮ টাকার সম্পদের কোনো উৎস পায়নি। এ হিসেবে তার বৈধ সম্পদের পরিমাণ ৪৩ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার ৪০১ টাকা।

আয়কর নথিতে তিনি ব্যয়ের পরিমাণ উল্লেখ করেন ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫ টাকা। তাহলে ব্যয় বাদে তার নীট আয় বা সঞ্চয় ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৯ টাকা। কিন্তু দুদক অনুসন্ধানে তার নীট সম্পদের মূল্য পেয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৭০৮ টাকা। অর্থাৎ অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার জ্ঞাত আয়ের উৎস ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৭ টাকা কম পাওয়া গেছে।

এছাড়া, দুদক দিদারুল আলমের ২০টি ব্যাংক হিসেব যাচাই করে ৪৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৩ টাকা জমা ও ৪৭২ কোটি ৯০ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৫ টাকা উত্তোলনের তথ্য পায়। অর্থাৎ তিনি মোট ৯৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৮ টাকা আয়ের উৎস আড়াল করে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন।

দুদক আইন ২৭ (১), দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ও মানিলন্ডারিং আইনের ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

এদিকে দিদারুল ও ইসমতের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ইসমত আরা তার স্বামীর সহযোগিতায় জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ সম্পদ তার স্বামী দিদারুল আলম সংসদ সদস্য থাকার সময় ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রাখায় ইসমত আরার বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭ (১) এবং অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ স্ত্রীর নামে রেখে ভোগদখল করায় দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিদারুল আলম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রাম-৪  আসন থেকে ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: