এম এ কাশেমসহ কয়েকজনের নামে মামলা করবে দুদক

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। তার দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে সংস্থাটি।
এ বছরের ২ জুন এম এ কাসেমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে চিঠি ইস্যু করে দুদক। তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক আজিজুল হক, সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুসা জেবিন ও সহকারী পরিচালক আল-আমিন।
এম এ কাশেমের বিষয়ে গঠিত অনুসন্ধান টিমের হেড ও দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হকের কাছে অনুসন্ধানের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এম এ কাসেমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন। তার দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
আজিজুল হক আরও বলেন, উনার (এম এ কাসেম) বিরুদ্ধে দুদকে কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। গাড়ি ক্রয় এবং অন্যটি জমি সংক্রান্ত্র অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। পাশাপাশি অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগও আনা হয়েছে। আমরা এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।
এদিকে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আরেকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর নিজামুল আলম নামের একজন ভুক্তভোগী দুদকে এ অভিযোগ দেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি কেনাকাটায় ৩০৪ কোটি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে বোর্ড সদস্যদের জন্য দামি গাড়ি কেনা ও সিটিং অ্যালাউন্স বাবদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি সাউথইস্ট ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগও আনা হয়েছে।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হস্তন্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলার আসামি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২২ সালে আদালতকে প্রভাবিত করে নিজের পক্ষে রায় নেন। রাষ্ট্রের স্বার্থে সাউথইস্ট ব্যাংক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দুটি প্রতিষ্ঠান রক্ষায় এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ কাসেম বলেন, দুদক যদি কোনো তদন্ত করে, তাহলে আমাদের পক্ষ তাতে সহযোগিতা করা হবে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: