• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

হাসিনার রায় ঘিরে বিচারক-প্রসিকিউটরদের হত্যার হুমকি, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ১৫:০০, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
হাসিনার রায় ঘিরে বিচারক-প্রসিকিউটরদের হত্যার হুমকি, গ্রেফতার ১

জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারক ও প্রসিকিউটরদের হত্যার হুমকির ঘটনায় মো. শরীফ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রসিকিউশনের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ভোলা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরীফের বাড়ি লালমোহন উপজেলার সাতআনি গ্রামে।
 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচারপতি ও প্রসিকিউটরের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হুমকির সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও ব্যক্তিকেও শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন তানভীর হাসান জোহা। 
 
জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং দুটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে শেখ হাসিনা ও কামালের দেশে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
 
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র, উসকানি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়ের অভিযোগে বিচার হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে পাঁচটি অভিযোগগুলো হলো: গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে উসকানিমূলক বক্তব্য, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা, চানখাঁরপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় হত্যা ও লাশ পোড়ানো।

এগুলোর মধ্যে শেষ তিনটি অভিযোগে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আর প্রথম দুই অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার আগে প্রসিকিউশন টিমের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, রবিবার রাত থেকে তাদের প্রত্যেককে হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং অকথ্য গালিগালাজ করা হয়।

তখন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, অসংখ্য ফোন পেয়েছি। এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে দিয়েছি। একই ভাষা, একই কথা। নেত্রীর সাজা হলে আমাদের জীবন শেষ করে দেবে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: