মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবন থেকে সাত জেলে অপহরণ
মুক্তিপনের দাবিতে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে সাত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। আত্মসমর্পনকৃত জলদস্যু ডন বাহিনীর পরিচয়ে স্বশস্ত্র ১০ জলদস্যু রবিবার সকালে মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা, হেতালবুনি খাল থেকে তাদেরকে অপহরণ করে।
অপহৃত জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন(৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসে (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।
ফিরে আসা দুই জেলে ফজের আলী ও সবুজ মিয়া জানান, গত ২ নভেম্বর সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে তারা পাশ সংগ্রহ করে কাঁকড়া শিকারের জন্য বনে যান। এক পর্যায়ে কাকড়া শিকারের জন্য রোববার তারা মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা, হেতালবুনি খালে অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে ১০ জন বন্দুকধারী জলদস্যু তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এরপর প্রতি নৌকা থেকে একজনকে উঠিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি (০১৭৪১৮৮****) বিকাশ নাম্বারে মুক্তিপনের টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
তারা আরও জানায়, ঋণ করে তারা বনে গিয়েছিল। এখন চালান তুলতে না পারার পাশাপাশি মুক্তিপণ দিয়ে সহকর্মীদের ছাড়াতে হবে। মাথাপ্রতি মুক্তিপণ বাবদ ডন বাহিনী ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। এমন দুরাবস্থার মধ্যে পড়ার তারা খবি দূশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
এ ব্যপারে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ ফজলুল হক জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে, বনবিভাগের স্ম্যার্ট পেট্রাল টিমের সদস্যরা সুন্দরবনের ভিতরে অভিযানে রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি কোস্টগার্ডকেও অবহিত করা হয়েছে। জলদস্যুদের লোকেশন চিহ্নিত করে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য ঃ ডন বাহিনীসহ কয়েকটি জলদস্যু বাহিনী ইতিপুর্বে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পন করেছিল। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত ৫ আগষ্টের পর আলিফ ওরফে আলিম বাহিনী, রবিউল বাহিনী ও ডন বাহিনী আগের মত সুন্দরবনে দস্যুতা শুরু করেছে। ডন বাহিনী প্রধানের বাড়ি খুলনা হলেও তার দলে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের শাহাজান ও একই গ্রামের সফিকুল ইসলাম ওরফে ভেটো কাজ করছে বলে জানা গেছে।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: