‘কথা আছে’ বলে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা শিক্ষকের

বারবার শিক্ষকের কুপ্রস্তাব আর নোংরা ইঙ্গিতে অতিষ্ঠ হয়ে কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন দশম শ্রেণির ছাত্রী। তারপরও পিছু ছাড়েনি অভিযুক্ত শিক্ষক। মিথ্যা আশ্বাস আর ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে আবারও নেন কোচিংয়ে। লালসার শিকারে পরিণত করার জন্য অপকৌশলে সর্বনাশের চেষ্টাও করেছিল শিক্ষণ আরিফুল ইসলাম। কিন্তু নিজের বুদ্ধিমত্তার কারণে সম্ভ্রম বাঁচাতে পেরেছেন ওই কিশোরী।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম জনিকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আরিফুল রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদা চারঘাট মিয়াপুরের মো. দুলাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ফতুল্লার ইসদাইর গাবতলীস্থ রুহুল আমিন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আরিফুল। তিনি ফতুল্লার সস্তাপুর কমর আলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক। পাশাপাশি সপ্তাপুরস্থ জামাল ফ্ল্যাটে তার কোচিং সেন্টার রয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং করছিলেন। কিন্তু কোচিংয়ে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন শিক্ষক আরিফুল। বিষয়টি সাত মাস আগে তার স্ত্রীকেও জানানো হয়েছিল। তবে আমলে না নিয়ে উল্টো তাকে দোষারোপ করেন। এরপর আর কোচিংয়ে যাননি তিনি।
তিনি আরো জানান, ১৪-১৫ দিন আগে স্কুলে গেলে তাকে ডেকে নেন আরিফুল। এ সময় কোচিং না করলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করবেন না বলে জানান। এছাড়া আগের মতো সেই আচরণ করবেন না বলেও জানানো হয়। তার কথায় ১৫ মার্চ কোচিং করা শুরু করেন তিনি। ২৪ মার্চ বিকেলেও কোচিংয়ে যান। কিন্তু কোচিং শেষে কথা আছে বলে তাকে থাকতে বলেন আরিফুল।
এরপর সবাই চলে গেলে দরজা বন্ধ করে তাকে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত বোলাতে থাকেন শিক্ষক আরিফুল। একপর্যায়ে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে আরিফুল কৌশলে পালিয়ে যান। ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার শিক্ষক আরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: