• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

বিয়ের রাতেই নববধূকে ধর্ষণ করে আটক স্বামীর দুলাভাই

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ২৩ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৯:৫০, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিয়ের রাতেই নববধূকে ধর্ষণ করে আটক স্বামীর দুলাভাই

প্রতীকী ছবি

বিয়ের রাতে নববধূকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্বামীর দুলাভাইকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনটে।

তরুণীল বাবার মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৩০)। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের একটি গ্রামে।

থানা সূত্রে জানা গেছ, তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

আরও পড়ুন:

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ ওই তরুণীর বিয়ে হয় ধুনটের একটি গ্রামের এক যুবকের (২৩) সঙ্গে। পাত্র মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও বিয়ের আগে মেয়েপক্ষ বরের এ সমস্যার কথা জানত না। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই দিনই নববধূকে স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়। বরের দুলাভাই আলমগীর হোসেন নববধূকে ধর্ষণ করেন।

নববধূ বিষয়টি তার শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা উল্টো মিথ্যা বলার অভিযোগে নববধূকে মারধর করেন। ২৫ মার্চ রাতে আলমগীর আবার নববধূর ঘরে এলে তিনি বিষয়টি তার বাবাকে মুঠোফোনে জানান। বাবার বাড়ির লোকজন তরুণীকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় নববধূর বাবা বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন, ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে জামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিয়ের রাতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার শ্যালক প্রতিবন্ধী। তাই মেয়েটি তার স্বামীকে পছন্দ করছেন না। এ কারণে তারা আমাদের কাছে তাদের মেয়েকে তালাকসহ মোটা অঙ্কের টাকার দাবি করছেন। এ টাকা না দেওয়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।

ধুনট থানায় ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: