• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

পড়াতে গিয়ে ছাত্রের মায়ের গোসলের ভিডিও করে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ২৬ মে ২০২২

আপডেট: ১৯:০৯, ২৬ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
পড়াতে গিয়ে ছাত্রের মায়ের গোসলের ভিডিও করে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

অভিযুক্ত মাজেদুল

সন্তানের জন্য শিক্ষক রেখে শেষে ইজ্জত হারাতে হলো গৃহবধূকে। গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীর মাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে অভিযুক্ত মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়াকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায়।

আটককৃতত মাজেদুল কাউনিয়া উপজেলার মৃত মহির উদ্দিন বসুনিয়ার ছেলে। তিনি  হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী গৃহবধূ। বুধবার (২৫ মে) রাতে রংপুর মহানগরীর কারামতিয়া এলাকা থেকে মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গৃহশিক্ষক হিসেবে গৃহবধূর দুই সন্তানকে ৩-৪ বছর আগে প্রাইভেট পড়াতেন মাজেদুল। পড়ানোর সুযোগে একদিন গোপনে ওই গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। পরে সেই ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ভয় দেখানোসহ তার ছেলেদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মাজেদুল আবারও ওই গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ নিরুপায় হয়ে ছেলেদের নিয়ে ঢাকায় আসলেও রেহাই মেলেনি। ঢাকায় থাকা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানালে তিনি রাজি না হওয়ায় অন্য নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১২ মার্চ তার ছোট ছেলের (১৭) মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে দেন মাজেদুল। এছাড়া একইদিন বড় ছেলের (১৮) এক বন্ধুর মেসেঞ্জারেও সেই আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে দেন মাজেদুল। 

অবশেষে নিরুপায় হয়ে ওই নারী ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে গত ১১ এপ্রিল মাজেদুলের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় অভিযোগ করেন। কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বলেন, গত ১১ এপ্রিল ভুক্তভোগী নিজেই থানায় এসে মাজেদুলের বিরুদ্ধে  অভিযোগ করেন। তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(১)(২)(৩) ধারায় মামলাভুক্ত করা হয়।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, অভিযুক্ত মাজেদুল ঘটনা জানাজানি হলে লুকিয়ে ছিলেন। মামলা দায়েরের পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: