• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

খাসির মাংসের নামে কী খাচ্ছি!(ভিডিও)

শুভ খান

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২২ জুন ২০২২

আপডেট: ১৮:১৭, ২২ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ

উত্তর বঙ্গ থেকে বাসেখাসির মাংস রাজধানীতে আসে। বরফ মেশানো সেই মাংসের গায়ে রক্ত লাগিয়ে তাজা মাংস হিসেবে বিক্রি করা হয় বড় বড় মাংসের দোকানে। তবে সেসব মাংস আসলে জবেহ করা ছাগলের, না কি মৃত খাসির! না কি অন্য কোনো প্রাণীর তা যাচাই করার কোনো উপায় নেই, ব্যাপারে নিশ্চিত নয় ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ।

বিশ্বস্ত সূত্রে বাংলাভিশনের ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন ইনভেস্টিগেশন টিমের কাছে ব্যাপারে কিছু তথ্য আসে। ঘটনার সত্যতা খুঁজতে মাঠে নামে বাংলাভিশনের টিমক্রাইম করাপশন সূত্র জানায়, সায়েদাবাদ বাস র্টামিনালে উত্তর বঙ্গ হতে ছেড়ে আসা পরিবহনে এই মাংস আসে।

পর পর কয়েকদিন খুব ভোরে সায়েদাবাদ বাস র্টামিনালে গিয়ে এই প্রতারক চক্রের নাগাল পাওয়া যায়নি। প্রায় সাপ্তহ চেষ্টার পর ভোরের সূর্য উদয় হবে ঠিক এমন সময় সায়েদাবাদ বাস র্টামিনালে হযরত শাহাজালাল শাহপরান পরিবহনকে থামতে দেখা যায়।

বাসটির দিকে দূর থেকে নজর রাখা হয়। গাড়ি থেকে বিভিন্ন মালামাল নামানোর এক পর্যায়ে নামানো হয় কয়েকটি ছাগলও। শেষের দিকে গাড়ির বাঙ্কার থেকে বড় সাইজের একটা কার্টন নামাতে দেখা যায়।

কার্টনটি একজন ভ্যানচালক তার ভ্যানে তুলে নেন। ভ্যানচালক রওয়ানা হতেই বাংলাভিশনের ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন ইনভেস্টিগেশন টিম তার পিছু নেয়।

ভোরের ফাঁকা রাস্তা ধরে কিছুক্ষণের মধ্যে সাদা নাইলনের বস্তায় মোড়ানো কার্টনটি পৌঁছে গেল রাজধানী অন্যতম বৃহৎ মাংস বেঁচা-কেনার জায়গা কাপ্তান বাজারে। কার্টনটি একটি মাংসের দোকানে নামিয়ে দোকান মালিককে বুঝিয়ে দেয় ভ্যান চালক।

এই মাংস যেহেতেু অবৈধ্যভাবে আসা পণ্য তাই এই পণ্যের মালের আসল মালিক সঙ্গে থাকে না, এমনটাই পরে জানতে পারা যায় ভ্যান চালকের কাছ থেকে। তিনি স্বীকার করেন বাস থেকে মাংস রিসিভ করে কাপ্তান বাজারে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি তিনি প্রায় নিয়মিত করে থাকেন।

প্রথম থেকে টিম দূর থেকে নজর রাখছিল। এবার সরাসরি দোকানের কাছে যাওয়ায় দোকান মালিক পালানোর চেষ্টা করেন। কার্টন খুলতেই দেখা যায় ভিতরে বরফে জমাট বাঁধা মাংস। কিন্তু এগুলো জীবিত খাসির জবেহ করা মাংস না মরা ছাগলের? সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কেউ নেই কাছে। এমনকি এগুলো আদৌ ছাগলের মাংস কিনা সেটাও ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ নিশ্চত নন।

এই সংশয়ের কারণ, খাসির কাচ্চি বলে কুকুরের মাংস খাওয়ানোর অভিযোগও শোনা গেছে কিছু সংখ্যক অসাধু রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন টিমের কাছে আসা তথ্য ছিল মৃত এবং অসুস্থ ছাগলের মাংস। জানা গিয়েছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা কয়েক দিন ধরে এসব মরা ছাগলের মাংস একত্রিত করে ঢাকায় পাঠানো হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন মাংস সংগ্রহ করা হয়। যে কারণে প্রায় প্রতিদিন ধরনের প্যাকেট ঢাকায় আসে।

দোকানের মালিক-কর্মচারী এবং আশেপাশের দোকানদারদের কেউ এই মাংসের মালিকানা স্বীকার করলো না! বিষয়ে কাপ্তান বাজারের মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে সাবাই বলেন, ‘এমন কাজ এই বাজারে কখনও হয়নি।

এসব প্রশ্নবিদ্ধ মাংসের ক্রেতা কারা?’ জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, খুচরা বিক্রি ছাড়াও কয়েকটি রেস্টুরেন্ট নিয়মিত কম মূল্যে নেয় এগুলো। রেন্টুরেন্টগুলোর নাম শুনে আমরা হতবাক। কারণ সেগুলো সব নাম করা রেস্তোরাঁ। এমনকি সেগুলোর কোনোটির চেইন রেস্টুরেন্ট রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায়।

পুলিশ, গোয়েন্দা আর প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে খোদ রাজধানীতে প্রকাশ্যে চলছে এই অনৈতিক ব্যবসা। জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি এই অবৈধ মাংসের ব্যবসা কর্তা ব্যক্তিদের জ্ঞাতে না অজ্ঞাতে হচ্ছে সে বিষয়ে আরও অনুসন্ধানের দাবি রাখে। কিন্তু আপনি আমি আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে পরিববার-পরিজন নিয়ে কী কিনে খাচ্ছি!

বিভি/এসকে/এনএ

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2