বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা: প্রেম নাকি শত্রুতা? (ভিডিও)
শুক্রবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিট। রাজধানীর রামপুরার টিভি ভবনের সামনের রাস্তায় উল্টো পথে রিক্সা করে আসতে দেখা যায় বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে। সাথে ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা। তাকে পুলিশ বক্সের কাছে নামিয়ে দেয় ফারদিন।
এরপর থেকে ফারদিনের কোনো খোঁজ মিলছিল না। নিরুপায় বাবা-মা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরদিন শনিবার রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। এরই মধ্যে তিনদিন পর সোমবার ফারদিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ডিএমপি রামপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় গতকাল রাতে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় রাজধানীর বনশ্রী এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তবে ঠিক কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড কিংবা এই হত্যাকাণ্ডে বুশরার ভূমিকা কি ছিল সেবিষয়েও কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ডিবি পুলিশসহ একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’
ফারদিনের ফোন লোকেশনের তথ্য বলছে- শুক্রবার বিকালে ডেমরা থেকে বেরিয়ে রামপুরা হয়ে যান ধানমন্ডি। সেখান থেকে নিলক্ষেত। তারপর বান্ধবীকে নামাতে আসেন রামপুরায়। এরপর তার লোকেশন দেখায় কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরায়। সেখান থেকে পুরান ঢাকার জনসন রোড। এরপর বন্ধ হয়ে যায় ফোন।
সহপাঠিদের কারো কারো ধারণা- বির্তক প্রতিযোগীতায় সম্প্রতি স্পেন যাওয়ার জন্য ভিসা পেয়েছিলেন ফারদিন, তা অন্য প্রতিযোগীরা মেনে নিতে পারেননি। আবার কেউ কেউ বলছেন- ফারদিনের সঙ্গে প্রেম ঘটিত বিষয় থেকে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে প্রেম নাকি হিংসা থেকে হত্যার পরিকল্পনা সব কিছু মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকতা।
ফারদিন হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: