ফেসবুক ও টেলিগ্রামে পর্নো ভিডিও বিক্রি করা চক্র গ্রেফতার

ফেসবুক ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিক্রি করার বিজ্ঞাপন প্রচার করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এবং ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
বুধবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুল হোসেইন তুহিন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: মো. আব্দুল হালিম, মোজাহিদ ও মো. আব্দুল্লাহ। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ও ১৪টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। তিনি জানান, বিভিন্ন অনলাইন মনিটরিং করার সময় ফেসবুক ও টেলিগ্রামে শিশু পর্নোগ্রাফির ভিডিও সরবরাহ করা লিংক চোখে পড়ে। তখন এটি নিয়ে কাজ শুরু করে সিটি সাইবার পুলিশ।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই ফেসবুক ও টেলিগ্রাম আইডি শনাক্ত করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। এরপর বুধবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে অবৈধ ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করত। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ভিডিওসহ সব ধরনের পর্নোগ্রাফি ভিডিও তারা ক্লাউড স্টোরেজ মেগা নামক সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরবরাহ করত। তাদের মোবাইলে বিপুল পরিমাণ পর্নোগ্রাফি ভিডিও কন্টেন্ট পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, ভারতেও একই পদ্ধতিতে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করত। এ ছাড়া ডার্ক ওয়েব থেকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ভিডিও, বিভিন্ন ধরনের অ্যাবিউসিভ ভিডিও সংগ্রহ করে আব্দুল্লাহ অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ মেগা ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করত।
মোজাহিদ ও আব্দুল্লাহ ফেসবুক এবং টেলিগ্রাম ব্যবহার করে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে পর্নোগ্রাফি ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রয় করত। গ্রেফতার ব্যক্তিরা ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস অ্যাকাউন্ট খুলে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করত। রমনা মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তিদের রিমান্ডের আবেদনসহ পাঠালে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বিভি/এসকে/এজেড
মন্তব্য করুন: