• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

পানীয়র সঙ্গে ভয়ংকর মাদক মিশিয়ে তরুণীদের সম্ভ্রমহানী করছে একটি চক্র

প্রকাশিত: ২২:০৪, ৩ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২২:০৫, ৩ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পানীয়র সঙ্গে ভয়ংকর মাদক মিশিয়ে তরুণীদের সম্ভ্রমহানী করছে একটি চক্র

সৈয়দ নওশাদ (বায়ে) ও মাদক

অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহৃত চেতনানাশক ইঞ্জেকশন ক্যাটামিন দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভয়ংকর এক মাদক। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সৈয়দ নওশাদ নামের এই যুবককে গ্রেফতারের পর ক্যাটামিন দিয়ে তৈরি ভয়ংকর এই মাদকের তথ্য জানতে পারেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। 

এই মাদক দিয়ে ঢাকার গুলশান-বনানীসহ অভিজাত এলাকার পার্টিতে আসা টার্গেটকৃত তরুণীদেরকে অজান্তে সেবন করিয়ে তাদের সম্ভ্রমহানী করা হতো।

মাদক দ্রব্য অধিদফতের কর্মকর্তারা বলছেন- নওশাদের বাবা একজন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে সে।  নিরুপায় বাবা নওশাদকে কয়েকমাস মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রেখে কিছুটা সুস্থ করে মালেশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বিধিবাম! সেখানে গিয়ে পড়াশুনা রেখে ক্যাটামিনকে মাদক হিসেবে রুপান্তরের কৌশল শিখে নেয় নওশাদ। এরপর দেশে ফিরে প্রায় এক যুগ ধরে নিজের বাসায় এই মাদক তৈরি ও বিক্রি করে আসছিলো সে। প্রতি গ্রাম ক্যাটামিন বিক্রি করা হয় ২০-২৫ হাজার টাকায়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (ঢাকা উত্তর) মেহেদি হাসান জানান, দেশে এই মাদকের ব্যবহার এটাই প্রথম। জুস কিংবা কোকের সঙ্গে মিশিয়ে পার্টিতে আসা তরুণীদের সম্ভ্রমহানি করে থাকে চক্রটি। এতে ওই তরুণীরা কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। কারণ এই মাদকের কোনো আকার, ঘ্রাণ কিংবা রং থাকে না। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, দেশে এই ধরণের মাদক এবারই প্রথম ধরা পড়লেও এর নেপথ্যে কারা কারা রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2